কলকাতা: ফের অর্থনীতিতে নোবেল এল বাঙালির দখলে৷ অমর্ত্য সেনের পরে নোবেল পেলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অর্থনীতিতে অভিজিৎবাবুর স্ত্রীও নোবেল পুরস্কার পেতে চলেছেন৷ অর্থনীতিতে আজ মোট তিনজনের নাম ঘোষণা করেছে নোবেল পুরস্কারে জন্য ঘোষণা করেছে নোবেল কমিটি৷ তার মধ্যে অভিজিৎ বাবু ও তাঁর স্ত্রী এসথার ডুফলো তালিকায় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ২০১৯ সালে অর্থনীতি এবার নোবেল পেতে চলেছেন অভিজিৎবাবু-সহ এসথার ডুফলো ও মাইকেল কার্মার৷ কিন্তু জানেন কি, কে এই অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়?
উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৬১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি৷ বর্তমানে তিনি এমআইটির ফুর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক৷ অর্থনীতি বিশ্লেষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের প্রাক্তন সম্পাদক ছিলেন তিনি৷ সেন্টার ফর ইকোনমিক পলিসি রিসার্চ, কিইল ইনস্টিটিউট, আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস এন্ড সায়েন্স ও ইকোনমিক সোসাইটির সম্মানিত ফেলোশিপ পেয়েছেন তিনি৷
জীবন: অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৬১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন৷ বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান৷ মাও ছিলেন অর্থনীতির পড়ুয়া৷ মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতার অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক৷
ছাত্র জীবন: তিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু করেন৷ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতি নিয়ে শুরু করেন উচ্চ শিক্ষা৷ ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বিএস ডিগ্রি ছিনিয়ে আনেন৷ পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ করেন৷ ১৯৮৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে গবেষণার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন৷ অর্থনীতিতে তাঁর গবেষণার বিষয়টি ছিল, এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস৷
কর্মজীবন: অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির অধীনে ফুর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগে আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত৷ তাঁর কাজের মূল লক্ষ্য, দারিদ্র মুক্ত অর্থনীতি৷ ২০০৪ সালে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফেলোশিপ পান৷ ২০০৯ সালে অর্থনীতির সামাজিক বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ইনফোসিস পুরস্কার পান তিনি৷ ২০১২ সালে পুওর ইকোনমিকস বইয়ের জন্য ইসথার ডাফলো ও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে যৌথভাবে জেরাল্ড লুয়েব অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়৷ ওই বছর এবিপি আনন্দে সেরা বাঙালি পুরস্কার পান৷ ২০১৩ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে নিযুক্ত হন৷ ২০১৪ সালে তিনি কিইল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি থেকে বার্নহার্ড-হামস-পুরস্কার পান৷ ২০১৯ সালে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৩৪তম বার্ষিক সম্মেলনে তিনু সামাজিক নীতির পুনঃপ্রণয়ন বিষয়ক বক্তৃতা দেন৷