কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে এখনই খুলছে না রাজ্যের স্কুলগুলি৷ স্কুল খোলার সময় পিছিয়ে গেলেও বদলাচ্ছে না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিন৷ নির্ধারিত সূচি মেনেই জুলাই মাসের ২, ৬ এবং ৮ তারিখে বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷ বদলাবে না পরীক্ষাকেন্দ্রও৷ সেই সঙ্গে ইনভিজিলেটর বা পরিদর্শকদের পূর্বনির্ধারিত ডিউটি বহাল থাকবে এবং ২০ জুনের মধ্যে নির্ধারিত হেডকোয়ার্টারে তাঁদের পৌঁছে যেতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই ডিউটি বাধ্যতামূলক৷ কোনওরকম অজুহাত মান্য হবে না৷
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল অফ হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন)-এর তরফে জারি করা আরও একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিও অপরিবর্তিত থাকবে৷ অর্থাৎ যাঁদের যেই পরীক্ষা কেন্দ্র আসন পড়েছিল, সেই কেন্দ্রেই পরীক্ষা হবে৷
এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১২ মার্চ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৭ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু করোনার জেরে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বাকি থাকা অবস্থাতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক। ২৩, ২৫ এবং ২৭ মার্চের পরীক্ষাগুলো স্থগিত হয়ে যায়। এর আগে বলা হয়েছিল ২৯ জুন, ২ জুলাই এবং ৬ জুলাই বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি হবে। পরে ফের সূচি বদল হয়৷ বলা হয়, আগামী জুলাই মাসের ২, ৬ এবং ৮ তারিখ হবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা৷
উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন ‘অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’৷ তাদের দাবি, গণপরিবহন এখনও স্বাভাবিক নয়, অনেক স্কুল এখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে৷ আর এই পরিস্থিতে কীভাবে পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সকাল ৯টায় হাজিরা দেবেন, কীভাবে সামাজিক দূরত্ব পালন করা হবে, প্রশ্ন তুলেছে ওই শিক্ষক সংগঠন৷ ইতিমধ্যেই উত্তর দিনাজপুরের ডিআই অফিসে ডেপুটেশন দিয়ে অবিলম্বে সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে ওই শিক্ষক সংগঠন৷ এবিষয়ে সংগঠনের মুখপাত্র বৈশাখী সাহা জানিয়েছেন, ‘‘করোনা স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করে শিক্ষা দপ্তরের এই পরীক্ষা ব্যবস্থা সংগঠন চূড়ান্ত ভাবে বিরোধিতা করছে৷ সেটাই প্রমাণ করছে, উত্তর দিনাজপুর ডিআইয়ের নোটিফিকেশন৷ এবিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাস্থ্য গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে৷ সেজন্য সমস্ত রকম যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক শিক্ষা দপ্তর৷ পরীক্ষা দুপুর ১২টায় শুরু করতে সংসদকে জানানো হয়েছে৷’’