কলকাতা: চলতি বছরের জয়েন্ট পরীক্ষায় প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে একটি করে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট বোর্ড৷ এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবকটি প্রশ্ন পত্র ফাঁস হয়ে যায়। এই ধরণের কোনও ঘটনা যাতে রাজ্য জয়েন্টে না ঘটে তা নিয়ে প্রথম থেকেই সচেতন রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড (ডব্লিউবিজেইইবি)। সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বছর রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র দেওয়ার ভাবনা করা হয়েছে বলে জানান রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডে রেজিস্ট্রার দিব্যেন্দু কর।
রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব্যেন্দু কর বলেন, “প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জের কাছে এই যন্ত্রটি পাঠানো হবে । তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি রুমে ওই যন্ত্রটি নিয়ে ঘুরবেন | সেই সময় পরীক্ষা হলে কোনও মোবাইল ফোন বা ব্লু-টুথের মতো যন্ত্রের সিগন্যাল কাজ করলে তা জানান দেবে এই রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর।” রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর কি ধরনের কাজ করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর হচ্ছে একটা ডিভাইজ ।
প্রত্যেক সেন্টারে ইনচার্জের তত্ত্বাবধায়নে থাকবে এই ডিভাইজ । উনি প্রত্যেক ঘরে ঘরে ঘুরবেন । কোনও রকম কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইজ় যেমন- ইলেকট্রনিক ফোন বা ব্লু-টুথ এই সবগুলো যদি থাকে তাহলে ওটাকে ক্যাচ করবে । সেন্সরে দেখাবে যে কারোর কাছে ফোন জাতীয় কোনও যন্ত্র আছে । তা আমরা চিহ্ণিত করতে পারব বলে আশা আছে আমাদের”। এই বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, এবার রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর দেওয়া হচ্ছে সবাইকে । যাতে মোবাইল ব্যবহার আটকানো যায় । মাধ্যমিকে পরীক্ষা শুরুর ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপে বেরিয়ে এসেছিল । স্মার্টফোনে ছবি তোলা হচ্ছে, সেই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে বেরিয়ে যাচ্ছে । এই জিনিসগুলো আটকানোর জন্য রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিভাইজ় দেওয়া হচ্ছে । পরীক্ষা চলাকালীন এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হবে ।
যাতে মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে ধরা যায়”। দিব্যেন্দুবাবু বলেন, আগেও এই যন্ত্রটি অন্যভাবে ব্যবহার করা হত। এটা আগে আমরা বেশি ব্যবহার করিনি । যাঁরা রোমিং অবজার্ভার তাদের দেওয়া হত। যারা সারপ্রাইজ ভিজিট দিতেন তাঁরা নিয়ে যেতেন । এবার বোর্ডের সিদ্ধান্ত সব সেন্টারকেই পাঠাব একটা করে । যাতে সবসময় সুপারভিশন থাকে।পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কেউ যদি ধরা পড়ে তাকে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দেব ৷ খাতা বাতিল করা হবে । সেন্টার ইনচার্জ যে রকম রিপোর্ট দেবেন সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।