অসম: এরম কেউ আছেন, যিনি পোকা ভাজাদিয়েছোলা খেতে চান? তাহলে অসমের সর্বাবৃহৎ নদীবেষ্টিত মাজুলি দ্বীপে ঘুরে আসতে পারেন৷ পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে ফসল আক্রমণের আগেই সেগুলোকে কীভাবে সুস্বাদু রান্নায় পরিণত করে খেয়ে ফেলা যায় তাই নিয়ে স্থানীয় উপজাতি মানুষদের সাঙ্গে নিয়ে অনেকদিন ধরেই কাজ করে চলেছেন কৃষিবিজ্ঞানীর একটি দল৷
এই ধরনের পোকার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ও বিধ্বংসী হল ‘সাদা গ্রাব বিটল’(লেপিডিওতামানসুতে, স্থানীয়ভাবে ‘হাটি-পুক’ নামেপরিচিত)৷৩০০ স্কোয়ার কিলোমিটার বিস্তৃর্ণ আলু,আখ,বিভিন্ন দানা শস্য চাষের জমির প্রায় ৪০ শতাংশ এই ভয়ংকর পোকাটির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হত।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ-এর অর্থসহায়তায় অল ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক প্রোজেক্ট অন সয়েল আর্থ্রোপডস্ পেস্টস্(এআইএনপিএসএপি)-এর বিজ্ঞানীরা ২০১০ সাল থেকে মাজুলির এই পতঙ্গটি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন।
যদিও স্থানীয় বিলুপ্তপ্রায় উপজাতির মানুষদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক পোকাপুলি খাওয়ার চল ছিল বলে স্বীকার করেছেন ডঃ সুধাংশু ভাগবতী এআইএনপিএসএপি-এর এক পতঙ্গবিজ্ঞানী। “আমরা তখনও এটি বিষাক্ত কিনা জানতাম না”-তার কথায়।পরবর্তীকালে পরীক্ষা করতে গিয়ে জানতে পারি, এতে যে পরিমাণ অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায়, তাতে মাছ, মাংসের মতন প্রথম শ্রেণির প্রোটিনের বদলে এই পোকা খাওয়া যেতেই পারে। তার পরেই বিজ্ঞানীরা চাষীদের এটি খেতে উৎসাহ দেন।
২০১৫ সালের পর থেকে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে এই পোকা রান্না পদ্ধতি ও উপকারিতা সম্পর্কে প্রচার চালান। এই মাসে তারা দু থেকে তিনটি ছোট আউটলেট খোলার কথা ভাবছেন, মাজুলির পর্যটন সমৃদ্ধ জায়গায় বিদেশিদের আকর্ষণের জন্য।