নয়াদিল্লি: পেশা হিসেবে স্কুল শিক্ষকতাকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে এবার বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের। ২০২০ সালে ঘোষিত নয়া শিক্ষানীতির ওপর ভিত্তি করে এবার থেকে বিএড কোর্স ৪ বছরের করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পড়ুয়ারা চার বছরের বিএড কোর্সটি করলে, তাঁদের বিএ বিএড অথবা বিএসসি বিএড অথবা বিকম বিএড ডিগ্রি দেওয়া হবে। এই দু’টি ডিগ্রি পেতে হলে পড়ুয়াদের পাঁচ বছর সময় লাগে৷ নয়া বিএড কোর্সের মাধ্যমে দু’টি ডিগ্রি একসঙ্গে প্রদান করা হবে৷ সঙ্গে নয়া কোর্সে পড়ুয়াদের এক বছর সময়ও বাঁচবে৷
স্কুলে শিক্ষকতার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় ডিগ্রি হিসেবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই চার বছরের স্নাতক সহ বিএড ডিগ্রিকে চালু করার কথা সরকারি তরফে জানানো হয়েছে। ছাত্র-শিক্ষকরা নিজের পড়াশোনার বিষয়ের পাশাপাশি যাতে এডুকেশনেও ডিগ্রি অর্জন করতে পারে সেই কথা মাথায় রেখে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার এডুকেশন ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে এই কোর্সটি ডিজাইন করা হয়েছে৷ এই নতুন বিএড কোর্সে ‘বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন শিশুদের’ পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত করা হবে।
আগামী ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই কোর্স চালু করার কথা জানানো হয়েছে। তবে এই কোর্সে ভর্তি হতে গেলে ন্যাশনাল কমন এন্ট্রান্স টেস্ট নামে একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে, যার আয়োজন করবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি৷ অনেক বিষয় পড়ানো হয় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেগুলিতে এই কোর্স করানো হবে। এক বছর ও দু’ বছরের বিএড করার বিকল্প সুবিধেও পাবেন পড়ুয়ারা। স্নাতক উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দু’ বছরের বিএড করার সুযোগ পাবেন৷ এছাড়া, স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণরা এক বছরের বিএড প্রোগ্রাম করার সুযোগ পাবেন৷ চার বছরের মাল্টিডিসিপ্লিনারি ব্যাচেলর ডিগ্রি বা তার সমতুল্য ডিগ্রি কোর্স সম্পন্ন করা পড়ুয়ারাও এই সুযোগ পাবেন৷