ঔরঙ্গাবাদ: পরীক্ষা আগে, বিয়ে পরে। সর্বশিক্ষা অভিযানের কোনও বিজ্ঞাপনের ক্যাচ লাইন নয়। এই বক্তব্য মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী রেণুকা পাওয়ারের। শুধু মুখের কথা নয়। কাজেও করে দেখালেন তিনি। বর বিয়ের আসরে বসে। বধূ বেশেই রেণুকা ছুটলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। অর্থনীতির পরীক্ষা শেষ করে হাসি মুখে হল থেকে বেরিয়ে জানালেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। সেখান থেকে ফিরলেন বিয়ের আসরে। পাত্র শঙ্করের সঙ্গে চার হাত এক হল রেণুকার।
গরিব পরিবারের মেয়ে রেণুকার বাবা কয়েক মাস আগে মারা যান। তারপর থেকে পরিবারের আর্থিক অবস্থা আরও ভেঙে পড়ে। রেণুকার আরও পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। ভালো পাত্র মেলায় তাঁর মা ঠিক করে ফেলেন। প্রথমে আপত্তি করলেও পরে আর না বলতে পারেননি রেণুকা। কিন্তু প্রথম থেকেই বলেছিলেন, বিয়ে এবং পরীক্ষা যেন একদিনে না পড়ে। পরীক্ষার দিনেই বিয়ের লগ্ন পড়ল। পিছু হটতে প্রস্তুত নন রেণুকা। সারা বছরের কঠোর পরিশ্রম কোনওভাবেই মাঠে মারা যেতে দেবেন না। কথা বলেন পাত্র শঙ্করের সঙ্গে। হবু স্ত্রীর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে আপত্তি করতে পারেননি শঙ্কর। শনিবার সকালে বধূ বেশেই পরীক্ষা কেন্দ্রে রওনা হয়ে যান ২১ বছরের রেণুকা। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে তিনি বিয়ের আসরে পৌঁছন। বরযাত্রীর দল তাঁকে স্বাগত জানায়। কয়েক মুহূর্ত পর শঙ্করের সঙ্গে হাত ধরেন রেণুকা।