নয়াদিল্লি: স্কুল খোলা নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র৷ আগামী জুলাই মাসে গোটা দেশে জোন ভিত্তিতে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই নিয়মে সবার আগে স্কুল খুলবে গ্রিন জোন এবং অরেঞ্জ জোনে৷ তবে থাকবে একাধিক বিধি নিষেধ৷
বলা হয়েছে, মাত্র ৩০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়েই চলবে ক্লাস৷ অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে আসার অনুমতি পাবে৷ প্রথম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের আপাতত অপেক্ষায় থাকতে হবে৷ সংক্রমণ এড়াতে আংশিক ভাবে ক্লাসে হাজিরা দেবে উঁচু ক্লাসের ছেলেমেয়েরা। নীচু ক্লাসের পড়ুয়ারা লকডাউনের নিয়মকানুন সঠিকভাবে মেনে চলতে পারবে না। তারা নিজেদের সুরক্ষা সম্পর্কেও সচেতন নয়৷ তাই আপাতত বাড়ি থেকেই পড়াশোনা চালাতে হবে তাদের। স্কুলগুলি পুরোপুরি খোলার পর পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী তাদের স্কুলে পাঠাতে পারবেন অভিভাবকরা।
স্কুল খোলার বিষয়ে চলতি সপ্তাহের শেষেই নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলি সহমত হওয়ার পরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ লকডাউনের আগেই গত ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল৷ প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পর অভিভাবকদের মনে একটাই প্রশ্ন উঠছে, ফের কবে খুলবে স্কুলের দরজা?
কিছু দিন আগেই অবশ্য এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখারিয়াল৷ ১৪ মে ট্যুইটার লাইভে তিনি বলেছিলেন, ‘‘স্কুল খুললেও দিনে ৩০ শতাংশের বেশি ছাত্রছাত্রীকে স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। ক্লাসরুমে সোশ্যাল ডিস্টেনসিং থাকাটা অত্যন্ত জরুরি৷ এই সিদ্ধান্তকে কী ভাবে কার্যকর করা যায়, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে৷’’ পোখরিয়াল আরও বলেন, ‘‘শিক্ষক ও ছাত্রদের জীবন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷’’
স্কুল খোলার বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করছে NCERT৷ এই গাউডলাইন অনুসারে, স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। স্কুলে থাকবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। তিন আসন বিশিষ্ট বেঞ্চে দু’জন পড়ুয়া বসতে পারবে৷ প্রতিটি স্কুলের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের নিয়ম ও সংক্রমণ রোখার নিয়মাবলী লেখার ব্যবস্থা করতে হবে। সিটিভি বসিয়ে সামাজিক দূরত্বও মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে, সিবিএসই-র সিলেবাস কমানো হবে কিনা, সেই বিষয়েও আলোচনা চলছে৷