শিক্ষক মূল্যায়নের পদ্ধতি নয়া জটিলতা, অনিশ্চিত পরীক্ষা

কলকাতা: আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-র স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের সেমিস্টার পরীক্ষা৷ ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে এবার একটি পোর্টালও তৈরি করা হয়েছে৷ ‘মাই-আইআইইএসটি’ নামে এই পোর্টাল থেকেই পরীক্ষার্থীরা তাদের অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে পাশাপাশি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে এই পোর্টালে৷ কিন্তু এই পোর্টাল থেকেই তৈরি হয়েছে সমস্যা৷ এই কলেজের

শিক্ষক মূল্যায়নের পদ্ধতি নয়া জটিলতা, অনিশ্চিত পরীক্ষা

কলকাতা: আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-র স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের সেমিস্টার পরীক্ষা৷ ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে এবার একটি পোর্টালও তৈরি করা হয়েছে৷ ‘মাই-আইআইইএসটি’ নামে এই পোর্টাল থেকেই পরীক্ষার্থীরা তাদের অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে পাশাপাশি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে এই পোর্টালে৷

কিন্তু এই পোর্টাল থেকেই তৈরি হয়েছে সমস্যা৷ এই কলেজের শিক্ষকদের পঠনপাঠনের মূল্যায়ন নিয়ে বহু দিন ধরেই যে পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা চলছিল৷ এবার এই পোর্টালের মাধ্যমেই সেই ক্লাস ফিডব্যাক জমা করতে হবৈ পরীক্ষার্থীদের৷ অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডের আগে ছাত্রছাত্রীদের প্রথমেই এই ফিডব্যাক দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আর এই নিয়েই তৈরি হচ্ছে জটিলতা৷

সম্প্রতি কলেজে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে কলেজের র অ্যাডমিট ডাউনলোড করতে হলে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস ফিডব্যাক জমা করতে হবে৷ গত সোমবার আইআইইএসটি-র ডিন(শিক্ষা), সমস্ত বিভাগীয় প্রধান, ইআরপি সেলের ফ্যাকাল্টি ইনচার্জ এবং স্টুডেন্ট সেনেটকে এবিষয়ে একটি চিঠি পাঠান কলেজের ডেপুটি রেজিস্ট্রার নির্মাল্য কুমার ভট্টাচার্য৷ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি কিভাবে করতে হবে চিঠিতে তা উল্লেখ করা হয়েছে৷

সেখানে বলা হয়েছে এই পোর্টালেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে এরপর প্রথমে ক্লাস ফিডব্যাক জমা করে ওই পোর্টাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা তাদের অ্যাডমিট ডাউনলোড করতে পারবে৷ এই পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীদের গোপনীয়তা বজায় রাখা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে৷ তেমনই বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে ফিডব্যাক জমা করার ক্ষেত্রে৷ ছাত্র ও শিক্ষক দুপক্ষেরই প্রশ্ন আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে সেমিস্টারে দুটি পর্যায়ে পরপর ছ’টি অড-সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা হবে৷ সেক্ষেত্রে সব সেমিস্টারের ক্লাস ফিডব্যাক কি করে দেওয়া সম্ভব?

অন্যদিকে সিস্টেম অনুযায়ী শুধুমাত্র স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টারের ফিডব্যাকই কার্যকরী হবে৷ শিক্ষকদের অধিকাংশের বক্তব্য কলেজের সেনেটের অ্যাকাডেমিক অর্ডিন্যান্সে ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই বোর্ড অফ গভর্ন্যান্সের বৈঠকে ফিডব্যাক সংক্রান্ত নথি পেশ করা হয়৷ গত ১৯ জুলাই বিওজি-র তরফ থেকে জানানো হয় সেনেটে আলোচনার পরই পরবর্তী বৈঠকে সঠিকভাবে পেশ করা হবে৷ কিন্তু এরপর ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বিওজি-র বৈঠকেও আগে থেকে এবিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি৷

শেষপর্যন্ত বিষয়টি পুনরায় সেনেটে আলোচনার পর ২০২০-র শুরুতেই অ্যাকাডেমিক অর্ডিন্যান্স পেশ করার কথা বলা হয় বোর্ড অফ গভর্ন্যান্সের পক্ষ থেকে৷ সুতরাং, কোনো অনুমোদন ছাড়াই নিয়মবহির্ভূত ভাবে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা৷ যদিও এবিষয়ে কোনো কথাই বলেননি ডেপুটি রেজিস্ট্রার নির্মাল্য ভট্টাচার্য৷ এই অবস্থায় সেমিস্টারের পরীক্ষা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তায় ছাত্রছাত্রীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + nine =