কলকাতা: করোনার জেরে বন্ধ গোটা দেশের স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ ফলে, কাছুটা হলেও শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন৷ থকমে যাওয়া পঠন-পাঠান ফের চালু করতে দূরদর্শনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস চালুর ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য দূরদর্শনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের বিশিষ্ট শিক্ষকদের৷ নিজের ফেসবুক পেজে ভিডিও প্রকাশ করে এমনই ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কিন্তু, সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্থগিত দূরদর্শনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা৷
আজ দুপুরে একই ভাবে নিজের ফেসবুক পেজে ভিডিও প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, অভিভাবক ও দূরদর্শনের দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেওয়ায় ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হল৷ আজ দুপুরে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিভিন্ন মহল থেকে যে সমস্ত খবর আমরা পাচ্ছি, তারই ভিত্তি করে মনে হচ্ছে, চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দূরদর্শনের মাধ্যমে এক ঘণ্টা যে ক্লাস নেওয়ার কথা ছিল, তা লাভজনক হচ্ছে না৷ অবিভাবকরা যে সময় চাইছেন, শিক্ষকরা যে সময় চাইছেন, তার সঙ্গে কোন সামঞ্জস্য রাখা যাচ্ছে না৷ এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমরা দূরদর্শনের মাধ্যমে ৭ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত যে স্কাল নেওয়ার কথা ভাবছিলাম, তা স্থাগিত রাখা হল৷’’
শিক্ষামন্ত্রীর আরও মন্তব্য, ‘‘কিন্তু আমাদের নিজস্ব বাংলাশিক্ষা পোর্টাল বা অন্যান্য বিষয় যা আছে, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বহাল থাকবে৷ অভিভাবক, শিক্ষক, ছাত্র সমাজ আমাদের কাছে বড় কথা৷ তাঁদের যদি উপকারে না লাগে, তাহলে এখন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা সমাজকে উপকার দেবে৷ উৎসাহ দেবে৷ ভাল থাকবেন৷ সুস্থ থাকবেন৷ ঘরে থাকবেন৷’’
করোনা পরিস্থিতিতে বঙ্গে বন্ধ স্কুল৷ বন্ধ পঠনপাঠন৷ কিন্তু এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষদান পক্রিয়া চালু রাখার কথা জানিয়ে দূরদর্শনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী৷ নবম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট অধ্যায় পড়ানো ও হোম ওয়ার্ক দেওয়ার কথা শুক্রবার জানান স্বয়ং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু, ওই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভার্চুয়াল ক্লাস স্থগিত রাখা ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান জটিলতা৷ এমন কী সমন্বয়ের অভাব দেখা দিল, যাতে এই আধুনিক সিধান্ত লাটে তুলে দেওয়া হল? বাংলায় এখন এমন পরিবার খুবই কম আছে, যেখানে টিভি নেই৷ আর দূরদর্শন দেখতে কোনও টাকা লাগে না৷ ফ্রিতেই তা দেখা যায়৷ তার পরও কেন হঠাৎ পূর্বঘোষণা বাতিল? প্রশ্ন শিক্ষক মহলে৷