বেসরসকারি স্কুলগুলিকে ১৫% ফি কমানোর পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের

বেসরসকারি স্কুলগুলিকে ১৫% ফি কমানোর পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের

 
নয়াদিল্লি: করোনার জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় বেতন কমানোর কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। রাজস্থানের বহু স্কুলপড়ুয়ার অভিভাভকদের আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্তত ১৫ শতাংশ বেতন কমাতে পারে স্কুলগুলি, এদিন শীর্ষ আদালত একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই জানায়।

বিচারপতি এএম খানভিলকার ও দীনেশ মহেশ্বরীর বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, দেশে এমন কোনও আইন নেই যার ভিত্তিতে স্কুলগুলিকে বেতন মকুব করার কথা বলা যেতে পারে। তবুও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আদালতের তরফে স্কুলগুলিকে বেতন কমানোর জন্য বলা হচ্ছে। দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের সংবেদনশীল হওয়া উচিত বলে আদালতের তরফে এদিন বলা হয়েছে। অতিমারি নিয়ে এমনিতেই এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত মানুষ। স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের এই সময় কিছুটা চাপমুক্ত করা উচিত স্কুল কর্তৃপক্ষের।

সম্প্রতি রাজস্থান সরকার সে রাজ্যের স্কুলগুলিকে ৩০ শতাংশ ফি কমানোর কথা বলে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রথমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বেসরকারি স্কুলগুলি। কিন্তু সেখানেও কার্যত রাজ্য সরকারের নির্দেশই বহাল রাখা হয়। এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি খানভিলকারের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ বলে, ২০২০-২১ সেশনে দীর্ঘদিন লকডাউনের জেরে স্কুল খোলেনি। যার ফলে ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল না। স্কুলে দীর্ঘদিন ক্লাস হচ্ছে না অনলাইনে পড়াশোনা চলছে, তাহলে মেইনটেনেন্স, বিদ্যুৎ, জেনারেটরের ডিজেল, জল, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে? স্কুলগুলির তো এই টাকা খরচই হচ্ছে না। এভাবে টাকা নেওয়া ব্যবসা করার সমান। তাই স্কুল বন্ধ থাকার কারণে যে যে খরচ এবং অ্যাক্টিভিটি হচ্ছে না তার জন্য টাকা নেওয়া যাবে না। ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের যে পরিমাণ বেতন দিচ্ছে, তাতে কর্তৃপক্ষের বড়সড় মুনাফা হচ্ছে। এই সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের লাভের মানসিকতা বর্জন করে মানবিক হয়েই বেতন কমানো উচিত। আইনত এমন কোনও সুযোগ সুবিধার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকের থেকে টাকা নিতে পারে না, যেগুলি তাদের এই সময় দিতেই হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *