কলকাতা: অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ধারনা থাকে যে, চিরাচরিত বিজ্ঞানের শাখা বা পিওর সায়েন্স না নিলে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম তো দূর ভালো ফল করা যায় না। কিন্তু সেই ধারনা এক লহমায় ভেঙে দিয়েছে এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী শুভ্রাংশু সর্দার। কারণ তার বিষয়গুলি ছিল অন্যরকম। অর্থাৎ পিওর সায়েন্স বলতে যা বলা হয় সেই এই বিষয়গুলি তার ছিল না। তাহলে বলাই যায়, পড়াশুনার ওপর এবং কেউ কতটা পরিশ্রম করতে পারছে, তার ওপর নির্ভর করে ভালো ফলাফল।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র শুভ্রাংশু সর্দার ৪৯৬ নম্বর পেয়েছে। সে মোটামুটি দিনে ৪ ঘণ্টা মতো পড়াশুনা করত, কখনও কখনও তার থেকে কিছুটা বেশি। কিন্তু কখনই সে ১৪-১৫ ঘণ্টা পড়েনি। কিন্তু ওই ৪ ঘণ্টার কম পড়াশুনাও সে করেনি। এদিকে তার ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ একসঙ্গে এই বিষয়গুলি ছিল না বা পিওর সায়েন্স ছিল না। তার বিষয়গুলি ছিল- বাংলা, ইংরেজি, ইকোনমিক্স, ম্যাথ, স্ট্যাটিসটিক্স এবং কম্পিউটার সায়েন্স। তাই পিওর সায়েন্স থেকে এবার প্রথম স্থান আসেনি বলে জানাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। স্পষ্টত বলা যায়, পিওর সায়েন্স নিয়ে যে ধারনা জন্মেছে তা বদলানোর সময় এসে গিয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”গঙ্গারামকেও হার মানালেন! মাধ্যমিকে ৪৬ বার ফেল করেও হার মানেননি বৃদ্ধ” width=”560″>
উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিকে এই বছর পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পাশের হার ৯৫.৭৫ শতাংশ। এই তালিকার দশম স্থানে রয়েছে কলকাতা। শীর্ষ স্থানাধিকারী শুভ্রাংশু জানিয়েছে, স্কুলের অবদান নতুন করে কিছু বলার নেই। স্কুল ছাত্রদের যা বানায় তা নিয়ে আলাদা কিছু বলার দরকার পড়ে না। তবে এই সাফল্যের জন্য সবথেকে বেশি অবদান তার, কারণ পরীক্ষা তাকেই দিতে হয়েছে। দ্বিতীয়ত স্কুল, তৃতীয়ত বাবা-মা এবং বাকিরা।