কলকাতা: অবিলম্বে স্কুল খোলা এবং উৎসশ্রী প্রকল্পে বদলি সংক্রান্ত নানান সমস্যা সমাধান, সকল শূন্য পদে নিয়োগের দাবি তুলল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। ওড়িশা ,পাঞ্জাব ,গুজরাট সহ অন্যান্য রাজ্যের ন্যায় কোভিড বিধি মেনে এ রাজ্যে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন চালু , শিক্ষক বদলির নানান সমস্যার সমাধান এবং বিদ্যালয়ে সকল শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে গতকাল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (এসটিইএ)-র পক্ষ থেকে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশনে স্মারকলিপি প্রদান করা হল।
গতকাল ১৭ দফা দাবি নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র, শিক্ষাবার্তা সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা বার্তা যুগ্ম-সম্পাদক শম্ভু মান্না, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদারদের একটি প্রতিনিধিদল বিকেলে কমিশনারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেন। কমিশনার জানান, বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন শুরুর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। তিনি জানান, আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। শিক্ষক বদলির উৎসশ্রী পোর্টাল সম্পর্কে বলেন, মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা বিষয়টি তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পোর্টালের মাধ্যমে বদলির বিষয়টি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়ায় চলতে থাকবে। অন্যান্য শর্তগুলি একই রকম থাকবে এবং নানান সমস্যা তৈরি হলে তাকে সমিতির পক্ষ থেকে জানানোর জন্য তিনি অনুরোধ জানান। সাথে সাথে বিদ্যালয়গুলিতে যে ব্যাপক শূন্যপদ রয়েছে তা পূরণ করার জন্য সরকারের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে কমিশনার জানান।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, অন্যান্য রাজ্যে স্কুল খুললেও আমাদের রাজ্যে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন না হওয়ার কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলছুট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অবিলম্বে স্কুল খোলা দরকার। সে ক্ষেত্রে শিক্ষকদের এবং ছাত্র ছাত্রীদের ভ্যাক্সিনেশন করেই স্কুল খোলা উচিত। দ্বিতীয়ত, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে আবেদনকারী সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-গ্রন্থাগারিকদের সুযোগ দিতে হবে। এবং এই শূন্য পদগুলি সহ বিদ্যালয়ের সকল শূন্যপদ গুলি অবিলম্বে পূরণ করার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা দ্রুততার সঙ্গে সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে আজ কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন অনিন্দ্য নারায়ণ বিশ্বাসের কাছে ১৭ দফা দাবির ভিত্তিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিছু কিছু বিষয়ে তিনি একমত হয়েছেন। আগামী দিনে স্কুল খোলার বিষয়ে সরকার সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করলে আমাদের সমিতি রাজ্যজুড়ে নানান আন্দোলন গড়ে তুলবে।