কলকাতা: একের পর এক বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের জেরে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে। এদিন আবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা! পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় যখন পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কার্যত বলপ্রয়োগ করে তাদের অবস্থান থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে হাতাহাতির খবর এসেছে। সব মিলিয়ে এদিন বিকেলে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় নাকতলা এলাকায়।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাদের বক্তব্য, পাঁচ বছর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র মেলেনি। কমপক্ষে ২৫০০ প্রার্থীদের যোগ্যতা প্রমাণ হয়ে গেলেও চাকরি পাননি তারা। সেই কারণে দ্রুত চাকরিতে নিয়োগের আবেদন জানিয়ে দিন শিক্ষামন্ত্রী বাড়ির সামনে আন্দোলনে নামেন তারা। পরবর্তী ক্ষেত্রে পুলিশের বাধায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ করা হয়, রীতিমতো গায়ের জোর দেখিয়ে এবং বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরানোর প্রক্রিয়া চালায় পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছেন মহিলাও। পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনের পাশাপাশি এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আবারও বড় অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্য সরকারকে। এর পাশাপাশি আবার রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের আন্দোলনও।
ইতিমধ্যেই শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের এই আন্দোলনকে নিজেদের হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধীরা। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন বাংলায়, তার আগে এইভাবে এক ইস্যুতে প্রত্যেক বিরোধীদল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, অবশ্য ভাবে এই বিষয় নিয়ে চাপে পড়েছে সরকার। যদিও বাজেট ঘোষণা পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য প্রত্যেক বছর ৩ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই ঘোষণার পরেও বরফ তেমনভাবে গলেনি। কিছুদিন আগে নিয়োগের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশে আদিগঙ্গায় নেমে যান কয়েকজন আন্দোলনকারী। এদিন আবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হল।