কলকাতা:নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতে কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিতে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার।গত ১০ জানুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী স্কুল শিক্ষকেরা প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না। কিন্তু এনিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে সরকারি উদ্যোগ এবং শিক্ষক সংগঠনগুলির অতীতের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে বহাল তবিয়তে প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের বহু স্কুলশিক্ষক। একইভাবে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে জারি হওয়া নির্দেশিকাও অমান্য করছেন বহু শিক্ষক।
সোমবার এই ইস্যুতেই ১১দফা দাবি সহ আইন অমান্যকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জেলাভিত্তিক তদন্তকারী কমিটি গঠনের আবেদন নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করে প্রাইভেট টিউটর'স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক বিশেষ প্রতিনিধি দল। পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
বৈঠক প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক দীপঙ্কর দাস বলেন যে তাঁরা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন ২০০৯ এর শিক্ষার অধিকার আইন ও কলকাতা গ্যাজেট ২০১৮ আইন লঙ্ঘনকারী পদক্ষেপ। এনিয়ে তাঁদের পক্ষ থেকে ডিআই ও ডিএম অফিসে জেলাভিত্তিক ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল। এরপর রাজ্য সরকারের তরফে সম্প্রতি যে নির্দেশিকা জারি করা হয় সেই অনুসারে মুচলেকাও জমা দিয়েছেন প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন এমন শিক্ষকরা। কিন্তু তার পরেও শিক্ষা দপ্তরকে ফাঁকি দিয়েই চলছে তাদের প্রাইভেট টিউশন। এরই প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
এদিনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রাইভেট টিউটর'স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্মসম্পাদক দীপঙ্কর দাস, রাজ্যকমিটির সদস্য অভিজিৎ প্রামানিক, শঙ্কুরাজ বিশ্বাস, সমরদাস, সৌমেন মোদক, সঞ্জীব সামন্ত, সুকান্ত সিনহা, বাবুয়া মুখার্জী, এবং অভিজিৎ চন্দ।