মাধ্যমিকে বাংলা’য় বেশি নম্বর তোলার সহজ টোটকা

আজ বিকেল: আগামী মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু৷ প্রস্তুতি চলছে, যার যার নিজের মত করে৷ অভ্যাসের মাধ্যমে নিজেকে আরও খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন তুলে ধরা হল বিষয়-ভিত্তিক টিপস৷ যা প্রস্তুতি পর্ব থেকে প্রশ্ন পাওয়া ও তার উত্তর লেখার পথে সব পরীক্ষার্থীর সহায়ক হবে৷ আজ রইল বিষয় বাংলা নিয়ে কিছু নির্দেশিকা৷ মানে

মাধ্যমিকে বাংলা’য় বেশি নম্বর তোলার সহজ টোটকা

আজ বিকেল: আগামী মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু৷ প্রস্তুতি চলছে, যার যার নিজের মত করে৷ অভ্যাসের মাধ্যমে নিজেকে আরও খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন তুলে ধরা হল বিষয়-ভিত্তিক টিপস৷ যা প্রস্তুতি পর্ব থেকে প্রশ্ন পাওয়া ও তার উত্তর লেখার পথে সব পরীক্ষার্থীর সহায়ক হবে৷ আজ রইল বিষয় বাংলা নিয়ে কিছু নির্দেশিকা৷

মানে বই পড়া ছেড়ে আগে পাঠ্য বার বার পড়৷ প্রশ্নের ধরণ বদলেছে৷ খুঁটিনাটি আগে না জানলেও চলত৷ এখন অনেক নিশ্চিত নম্বর হারিয়ে যেতে পারে পাঠ্য কম পড়ার জন্য৷ সহজ কথায় সহায়ক বই সহায়ক হয়েই থাক৷ সেটাই যেন পাঠ্য না হয়ে ওঠে৷

প্রতিটি পাঠ্যের মূল গ্রন্থ, বার্তা, তার মূল ভাব এবং লেখকের নাম জানা আবশ্যিক৷ যে কোনও জায়গায় কাজে লাগতে পারে৷ পারলে পাঠ্য ও লেখকদের নাম সম্বলিত একটি লিস্ট বানিয়ে পড়ার জায়গায় টাঙ্গিয়ে রাখ৷

প্রশ্ন পড়া, বোঝা এবং বাছার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সময় হাতে রাখ৷ এই সময় আবার এত বেশি যেন না হয়, যে উত্তর লেখার সময়ই রইল না৷ অনেক সময়ে চেনা প্রশ্ন থাকলে পুরোটা না পড়েই উত্তেজনার বশে উত্তর লিখতে শুরু করে দাও তোমরা৷ পরে দেখা যায়, আদতে তা চাওয়াই হয় নি৷ তাই পুরো প্রশ্ন পড়ে নেওয়ার ধৈর্যটুকু রাখতেই হবে৷

একটি প্রশ্নের অনেক উপবিভাগ থাকে৷ উত্তর লেখার জন্য প্রশ্ন বাছাই করার সময়ে কোন প্রশ্নের সব উপবিভাগের উত্তর সবথেকে ভাল লিখতে পারবে সেটা বিচার্য বিষয়৷ অনেক সময় এমন হয় যে একটি সম্পূর্ণ প্রশ্নের উপবিভাগগুলির একটি দারুণ ভাবে তৈরি, আর বাকিগুলি কোনও রকমে লেখা যাবে৷ তার থেকে এমন একটি প্রশ্ন বেছে নেওয়া উচিত, যার সব কয়টি উপবিভাগের উত্তর খুব ভাল না জানা থাকলেও তার একটা গড় মান আছে৷ গুণ ও মান দু-টোর ওপরেই জোর দিতে হবে৷

উত্তর লেখার সময়ে প্রশ্নের নম্বর ঠিক মত পরিষ্কার করে লেখা আবশ্যিক৷ আর সবথেকে ভাল হয়, প্রশ্নের উত্তর ক্রমান্বয়ে লেখা৷ মনে রাখবে যত ছড়িয়ে ছিটিয়ে উত্তর লিখবে, পরীক্ষক সঠিক উত্তরে নম্বর দিতে বাধ্য হলেও, কোথাও তোমাকে বাড়তি ছাড় দেবেন না৷ গুছিয়ে সুন্দর করে লিখলে, এক-আধ নম্বর হলেও ছাড়ের সম্ভাবনা থেকেই যায়৷ তাই-ই বা কম কী৷

সময় হাতে থাকলে, অবশ্যই অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর লিখে আসবে৷ কারণ উপবিভাগ সমেত যে প্রশ্নের উত্তর লিখে বেশি নম্বর তুমি পাবে সেটাই গণ্য হবে৷ এখানে আগে লেখা বা পরে লেখার ওপর নির্ভর করে না৷ যতগুলো প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে ন্যূনতম ততগুলো প্রশ্নের উত্তর লিখে তবেই অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর লেখা উচিত৷ তবে ব্যাকরণের ক্ষেত্রে চেষ্টা করবে যতগুলোর উত্তর চাওয়া হয়েছে , তার বাইরে , আর যতগুলো পারা যায় , সম্ভব হলে সবকয়টি প্রশ্নের উত্তর একটানা লিখে আসতে৷ যদি মাঝে কোনও ভুল লিখে ফেল , তাহলে , অতিরিক্ত উত্তর যদি ঠিক হয় , সেখান থেকে ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে৷

ব্যাকরণ ছাড়া , সাহিত্য ক্ষেত্রে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যেন সম্পূর্ণ সার্থক বাক্যে লেখা হয়৷ শুধু যে শব্দ বা শব্দবন্ধ বা বাক্যাংশ আসল উত্তর , সেটুকু লিখলে হবে না৷ বিশেষতঃ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে এই ভুলটা হয়৷ প্রশ্নের উত্তর কতটা হবে তা নির্ধারিত হবে সেই প্রশ্নে কত নম্বর আছে তার ওপর ভিত্তি করে৷ অবশ্যই অযাচিত তথ্য দিয়ে উত্তর বড় করার ধরণ থেকে বিরত থাকতে হবে৷ তার চেয়ে যতটুকু জান, সেটুকুই লিখে এস৷ পাতার বাঁদিকে এবং ওপরে যেন মার্জিন থাকে৷ প্রতিটি আলাদা প্রশ্নের উত্তরে যেন আলাদা প্যারাগ্রাফ থাকে৷ প্রথম লাইন লাল বা সবুজ হাইলাইটিং পেন বা মার্কার ব্যবহার কোরো না৷ অনেক রকম নীল-রঙ-এর শেডস আছে , মার্কার হিসেবে ব্যবহার করতে পার৷ হলুদ বা কমলা রঙের হাইলাইটিং পেন ব্যবহার করতে পার৷ তবে নিজের খাতাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে গিয়ে অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত রঙের ব্যবহার করে ফেল না৷ নিজের প্রয়োজনীয় দ্রব্য গুছিয়ে নিয়ে যাও৷ পরীক্ষার হলে অন্যের কাছ থেকে কিছু চাওয়ার অনুমোদন কিন্তু নেই৷ তুমি অন্যের কাছ থেক কিছু চাইলে, ইনভিজিলেটর অনুমতি না দিতেই পারেন৷ সেক্ষেত্রে দোষ যিনি ইনভিজিলেট করছেন তাঁর নয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =