উত্তরপত্র মূল্যায়নে নয়া নিয়ম পর্ষদের, সোচ্চার শিক্ষক সংগঠন

মাধ্যমিকের উত্তর পত্র মূল্যমানের সময়সীমা বিগত বছর গুলোর তুলনায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩-২৪ দিনের পরিবর্তে মাত্র ১৬ দিন ধার্য করা হয়েছে। সময়সীমা অনুযায়ী উত্তরপত্রের সংখ্যা কমানো হয়নি। 

কলকাতা: শিক্ষকদের জন্য রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে বার বারই প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক সংগঠনগুলি। এবার এই তালিকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন। ইতিমধ্যেই উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় ও পদ্ধতিগত নিয়মে পরিবর্তন নিয়ে অসন্তোষ ও সমালোচনা শুরু হয়েছিল। শনিবার, মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরেই, মূল্যায়ন সংক্রান্ত শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিত নিয়মবিধিতে একাধিক ত্রুটি তুলে ধরে অভিযোগে সোচ্চার হল শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ।  

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, উত্তরপত্র সঠিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো উত্তরে বরাদ্দ নম্বরের থেকে কম নম্বর দিলে পরীক্ষককে তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে কারণ দর্শাতে গেলে পরীক্ষকদের এক একটি খাতা দেখার জন্য অনেক বেশি সময় লাগবে। ২.মাধ্যমিকের উত্তর পত্র মূল্যমানের সময়সীমা বিগত বছর গুলোর তুলনায় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩-২৪ দিনের পরিবর্তে মাত্র ১৬ দিন ধার্য করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় একসপ্তাহের বেশি সময় কমানো হয়েছে।

সময়সীমা অনুযায়ী উত্তরপত্রের সংখ্যা কমানো হয়নি। অন্যান্য বছরের মতোই প্রত্যেক পরীক্ষককে মূল্যায়নের জন্য ১৫০ টি করে উত্তর পত্র দেওয়া হয়েছে। বহু পরীক্ষককে মাধ্যমিকের পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকের খাতাও দেখতে হয়। একইসঙ্গে একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখার চাপ থাকে ওই একই সময়ে।  অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বহু শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কোনো উত্তরপত্র তাদের দেওয়া হয় না। 

শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক,কিংকর অধিকারীর মতে শিক্ষা দপ্তরের এই ধরণের পদক্ষেপ পরিকল্পনাবিহীন। এর জন্য উদ্ভূত সমস্যার দায় কেন শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে পর্ষদের এই ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় ও পদ্ধতিগত নিয়ম নিয়ে পরিষদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির। সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদ অনিমেষ হালদার পর্ষদের সিদ্ধান্তকে অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি দাবি জানিয়েছেন অবিলম্বে খাতা দেখা দেখার সময়সীমা এবং একটা করে অনডিউটি বাড়িয়ে আগের মত অন্তত মোট ৪ টে অনডিউটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *