কলকাতা: লকডাউনের মাঝেই বেরলো স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট বা সেটের ফলাফল। পরীক্ষায় ৫০ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে সফল হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার।
কলেজ সার্ভিস কমিশন জানিয়েছেন, এবারে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের কাছাকাছি। সেখানে সর্বোতভাবে সফল হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ পাশের হার ৬ শতাংশ৷ কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবারেই প্রথম ১০ শতাংশ আসন আর্থিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণ রাখা হয়েছিল। এছাড়াও ৬ জন রূপান্তরকামী প্রার্থী এবছর সেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। চলতি বছরে ১৯ জানুয়ারি মোট ৩০টি বিষয়ে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এবারে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সাঁওতালি, সাংবাদিকতা, আইন, মিউজিক এবং নেপালি। কমিশনের ওয়েবসাইট থেকেই ডাউনলোড করা যাবে ফলাফল।
কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে গেলে পুজোর পরই সিএসসি কলেজে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে। কলেজ অধ্যক্ষ পদে ইতিমধ্যে স্ক্রুটিনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, এখনও গতবারের কয়েকটি অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া বাকি রয়েছে, সেই কারণে কলেজগুলির থেকে আবারও শূন্যপদ চাওয়া হয়েছে। ভূগোল ও রসায়নের প্যানেল মার্চে প্রকাশিত হয়৷
কিন্তু তারপর হঠাৎ ২৩ মার্চ রাত থেকে লকডাউন ঘোষণার ফলে ইউজিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে মডারেশন ও স্টিয়ারিং কমিশন বৈঠক করতে পারছিল না। আনলক ওয়ান শুরুর পরপরই সিএসসি’র তরফে জুনের মাঝামাঝি দিল্লিতে যোগাযোগ করা হয়৷ ৯ জুলাই বৈঠক করে শনিবার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। কমিশন ৭ দিনের মধ্যেই ওয়েবসাইটে মডেল উত্তর প্রকাশ করবে। কমিশন কর্তৃক জানান হয়েছে, তারা আগামী তিন বছরের জন্য সেট এর অ্যাক্রিডিটেশন চাওয়ার পাশাপাশি পরিবেশবিদ্যা, এমবিএ এবং আরবিক বিষয়গুলিকে সংযোজনার আর্জি জানাবে।