কলকাতা: মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে এবছর প্রথম থেকেই নতুন একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পর্ষদ। মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বিষয়েও নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। সেখানে মূল্যায়নে ভুল হলে শিক্ষকদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এবার এই উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আরও এক নিয়ম বেধে দেওয়া হল।
অর্থাৎ পরীক্ষকদের দায়িত্ব আরও বাড়ল। নতুন নিয়মে, প্রশ্নের উত্তরে পূর্ণ নম্বরের কম নম্বর দেওয়া হলে, তার কারণ উল্লেখ করতে হবে পরীক্ষককে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের নম্বর নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে উত্তরপত্রেই তার সমাধান মিলবে। অভিযোগের প্রবনতাও অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছে পরিষদ।
যেমন ১০ নম্বরের কোনো প্রশ্নের উত্তরে ৬ বা ৭নম্বর দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সংশয় দূর করতে সেখানে অতি সংক্ষেপে কারণ উল্লেখ করতে হবে। যেমন উত্তর' স্পষ্ট নয়' বা 'অসম্পূর্ণ উত্তর' এভাবেই লিখে দিতে হবে ওই উত্তরের পাশে। কয়েকদিন আগেই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র হাতে পেয়েছেন পরীক্ষকরা। পরিষদ সূত্রে খবর, সেই সময়ই এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে পর্ষদের মতে, অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, উত্তরপত্রে শিক্ষকদের সঠিক মূল্যায়ন নিয়ে অভিযোগ থেকেই যায়। ফলে সংশয় দূর করতে পড়ুয়ারা খাতা দেখার আবেদন জানায়। এনিয়ে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। তাই ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হল পরীক্ষকদের।
এদিকে পরিষদের একের পর এক নিয়মের ফলে অস্বস্তি বাড়ছে শিক্ষকদের মধ্যে। একেই নির্ভুল মূল্যায়নের নির্দেশ, তার সঙ্গে উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময়সীমা কম। এর সঙ্গে নম্বর কম দেওয়ার কারণ লিখতে বাড়তি কিছুটা সময় তো লাগবেই। পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্রে এমন একাধিক ভুলভ্রান্তি থাকলে একটি উত্তরপত্রের পেছনেই অনেকটা সময় ব্যয় হবে। এনিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শিক্ষামহলে। এটা শিক্ষকদের উপর বাড়তি চাপ বলেই মত প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এরজন্য পর্ষদের তরফে, খাতা দেখার সময়সীমা বাড়ানোর দাবিও উঠেছে। যদিও এই নির্দেশিকা আদৌ কতটা মেনে চলবেন শিক্ষকরা, তা নিয়ে পরিষদের তরফেই সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।