বদলে যাচ্ছে স্কুলের নিয়ম, কীভাবে পঠন-পাঠন? নয়া পরিকল্পনা কেন্দ্রের

বদলে যাচ্ছে স্কুলের নিয়ম, কীভাবে পঠন-পাঠন? নয়া পরিকল্পনা কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: করোনা প্রাদুর্ভাবের জেরে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বন্ধ রয়েছে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও এভাবে বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই লকডাউন পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজগুলিতে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। এক্ষেত্রে একদিনে ৩০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে ক্লাস শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষকদের সঙ্গেও একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন পোখরিয়াল। যেহেতু করোনা সংক্রমণের উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে তাই প্রচলিত পদ্ধতিতে ক্লাস করানো সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়ে বিশেষ গাইডলাইন তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)।
আর এই গাইডলাইনের অংশ হিসেবে স্যোশাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন একসঙ্গে মাত্র ৩০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির কথা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। 

স্কুলে কোনও সমাবেশ অধিবেশন বা সেমিনার করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষকদের সাথে সরাসরি আলোচনার সময় পোখরিয়াল বলেন, “স্কুলগুলি ফের চালু করার জন্য আমরা এনসিইআরটিকে গাইডলাইন প্রস্তুত করতে বলেছি এবং তারা বেশিরভাগ কাজ করেছে। গাইডলাইনগুলির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শের মধ্যে রয়েছে প্রতিদিন ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস করানোর বিষয়টি। যদি একসাথে ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে  ডাকতে হয়, তবে আমাদের কীভাবে এই কাজ করতে হবে  তা দেখতে হবে।’’

সংবাদমাধ্যম প্রিন্টকে এনসিইআরটি-র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে অসুবিধাজনক হলেও ছাত্র-ছাত্রীদের এই ধরনের উপস্থিতির ক্ষেত্রে কাউন্সিল দুটি উপায়ের পরামর্শ দিয়েছে – তার একটি হল, প্রতিদিন কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে ডেকে পাঠানো হবে এবং অন্যটি হল, দুটি শিফট করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো হবে। এখনও পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চালু করার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছু না জানানো হলেও জুলিইয়ের মধ্যে ক্লাস শুরু করার কথা চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্যগুলি।  

চলতি সপ্তাহে ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেছিলেন যে তিনি আশা করছেন, জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। ১১ মে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীদের জুলাই মাসে স্কুলে পুনরায় স্বাগত জানাতে সক্ষম হব, তবে আরও দেরী হলে সেক্ষেত্রে সম্ভব্য পরিকল্পনা নিয়েও সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।” এদিকে নতুন ক্লাস শুরু করার পরিকল্পনা ছাড়াও আরো একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পোখরিয়াল। সেটি হল, যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বোর্ডের পরীক্ষার খাতা দেখার কাজে ব্যস্ত তাদের অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।