নয়াদিল্লি: দীর্ঘ লকডাউন পর্ব কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন৷ পথে-ঘাটে বাড়ছে ভিড়৷কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনের ঝক্কি কাটিয়ে আনলক ওয়ান পর্ব শুরু হলেও কিছুতেই কমছে না সংক্রমণ৷ লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আদৌ ৩০ জুনের পর স্কুল খুলবে কি না তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট উদ্বেগ৷ এবার সেই উদ্বেগ কাটিয়ে স্কুল-কলেজ কবে খুলবে তার একটি প্রাথমিক ধারণা দিলেন কেন্দ্রীয় মানব উন্নয়ন সম্পদ মন্ত্রী রমেশ নিশঙ্ক পোখরিয়াল৷
সংবাদ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগস্টের পর দেশের স্কুল-কলেজ গুলি খুলে যেতে পারে৷ কেননা তার আগে স্কুল-কলেজ জীবানুমুক্ত করার কাজ করতে হবে৷ তারপর সর্তকতা অবলম্বন করে ধাপে ধাপে খুলতে হবে স্কুল৷
গত ১৬ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ৷ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৩৩ কোটি পড়ুয়া৷ দিনে দিনে চিন্তা বাড়ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মধ্যে৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্র মানব উন্নয়ন সম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৫ আগস্টের পর স্কুল-কলেজ খুলে যেতে পারে৷ তবে তিনি কোনও নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করেননি৷করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জুলাই মাসের আগে স্কুল খোলা সম্ভব নয় বলেও বিভিন্ন মহল মনছে৷ কেননা যে হারে দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে তাতে করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল-কলেজে পড়ুয়াদের পাঠাতে নারাজ অভিভাবকদের একাংশ৷
জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ক্ষেত্রে কলেজ ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ক্লাস শুরু করার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে৷ এরপর মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরের স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে৷ স্কুলের সময়সীমা দুটি ভাগে ভাগ করে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে সূত্রের খবর৷ স্কুলের অর্ধেক পড়ুয়া নিয়ে পঠন-পাঠন শুরু করার ভাবনা-চিন্তাও শুরু হয়েছে৷ আগামী দিনে ঠিক কীভাবে স্কুল-কলেজ খুলবে, তা নিয়ে বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে চূড়ান্ত উদ্বেগ৷
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, যে সমস্ত পরীক্ষাগুলি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, সেই সমস্ত পরীক্ষাগুলি নতুন করে নিয়ে আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে তার ফল ঘোষণা করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে ১৫ আগস্টের পর স্কুল-কলেজ খুলবে কি না, জবাব দিয়েছেন মন্ত্রী৷ জানিয়েছেন, চেষ্টা করা হচ্ছে, ১৫ আগস্টের পর স্কুল-কলেজ খুলতে৷ যদিও, আগস্টের পর স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে সরকারি কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি৷