কবে খুলবে স্কুল-কলেজ? কেন্দ্র-রাজ্যের মন্তব্যে বাড়ছে বিভ্রান্তি

কবে খুলবে স্কুল-কলেজ? কেন্দ্র-রাজ্যের মন্তব্যে বাড়ছে বিভ্রান্তি

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আরও পিছিয়ে যেতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে চালু করার মেয়াদ৷ ১৫ অগস্টের পরে গোটাদেশে স্কুল-কলেজ চালু হতে পারে গত সপ্তাহে মন্তব্য করেছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের জেরে বাংলায় নতুন করে স্কুল খোলা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি৷ রাজ্য সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় দিনগুনছে স্কুল-কেলজ কর্তৃপক্ষ৷

করোনা শতর্কতা হিসাবে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার আগেই দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়৷ গত ১৬ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ৷ করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জুনের পরে স্কুল-কলেজগুলি খুলবে৷ লক্ষ লক্ষ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা ব্যবস্থা করতে স্কুলে কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়েছিলেন, গোটা জুন মাস স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে৷ আর সেই কারণে তৃতীয় বারের জন্য বদলে দেওয়া হয় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি৷

কিন্তু, জুলাই মাসে রাজ্যের তরফে প্রথমিক ভাবে স্কুল-খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের নয়া মন্তব্য৷  ১৫ অগস্টের পরে গোটাদেশে স্কুল-কলেজ চালু হতে পারে গত সপ্তাহে মন্তব্য করেছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক৷ আর তাতেই বেড়েছে বিভ্রান্তি৷ কেননা, শিক্ষা কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিতে গেলে রাজ্যের মতামত নিতে হবে কেন্দ্রকে৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার যখন জুনের পর স্কুল খোলার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে, তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগাম ঘোষণা বাড়িয়েছে বিভ্রান্তি৷

যদিও, গত ৮ জুন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব৷ কেন্দ্রীয় সচিবের সঙ্গে রাজ্যের শিক্ষার সচিবদের দীর্ঘ আলোচনা হয়৷ করোনো পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়৷ সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে নতুন করে স্কুল খুলতে লেগে যেতে পারে দু’মাস৷ কেননা, করোনার জেরে ইতিমধ্যেই একাধিক স্কুল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে৷ ফলে, সেই সমস্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টার জীবাণুমুক্ত করে শিক্ষাদানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যেতে পারে৷ তারপর রয়েছে সংক্রমণের ভয়৷ কেনান, দিনে দিনে যেহারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না অভিভাবকরা৷ ফলে, সবদিক খতিয়ে দেখে স্কুল খোলার বিষয়ে এই ঝুঁকি নিতে নারাজ সরকার৷

আলোচনা, চর্চা চললেও ৩০ জুনের পরে স্কুল বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি৷ কবে, কলেজ খুলবে তার স্পষ্ট ধারণা এখনও পাওয়া যায়নি৷ ফলে, দিনে দিনে বাড়ছে বিভ্রান্তি৷ যদিও, সব দিক বিবেচান করে রাজ্য শিক্ষা দফতরের পরবর্তী নির্দেশের দিকে তাকিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক মহল৷ তবে, পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, করোনা প্রভাব না কমা পর্যন্ত চটজলদি স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত না নেওয়া মঙ্গল পড়ুয়াদের জন্য৷ আগে বাঁচুক জীবন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + eleven =