কলকাতা: করোনা আবহে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল৷ গত নভেম্বর মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হলেও করোনা কাঁটায় ফের বন্ধ হয় স্কুলের দরজা৷ এদিকে স্কুল যেতে না পারায় তার প্রভাব পড়ছে শিশু মনে৷ কী ভাবে পড়ুয়াদের মন চাঙ্গা রাখা যায় বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সেই পরামর্শ নিচ্ছে স্কুল শিক্ষা দফতর৷ রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ওয়েবিনার৷ সরস্বতী পুজোর আগে আংশিক ক্লাস চালু করা যায় কিনা, তা নিয়েও শুরু হবে আলোচনা৷
আরও পড়ুন- চাপে পড়ে পদক্ষেপ? স্কুল খোলার ভাবনায় নবান্ন
শিক্ষক মহল থেকে পড়ুয়া, অভিভাবক সকলেই একযোগে স্কুল খোলার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে৷ বিভিন্ন মহল থেকে যখন স্কুল খোলার দাবি উঠেছে তখন স্কুলশিক্ষা দফতর কার্যত স্বীকার করে নিল, ক্লাসরুমের পরিবেশ থেকে দূরে থাকতে থাকতে ও সমবয়সিদের সঙ্গে মিশতে না পারায় ছাত্র-ছাত্রীদের মনে প্রভাব পড়ছে। অনলাইন ক্লাসের সঙ্গে সকলে মানিয়ে নিতে পারছে না৷ যার ফলে মনস্তাত্ত্বিক আচরণ প্রভাবিত হচ্ছে। এখন থেকে এই বিষয়ের প্রতি যত্নশীল না হলে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ ওয়েবিনার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলশিক্ষা বিভাগ। যা পড়ুয়াদের মানসিক সহায়তা প্রদান করবে৷
ওমিক্রনের দাপাদাপির মধ্যেই রাজ্যে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হয়েছে। একাধিক বিধিতে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সেই বিষয়টি উল্লেখ করেই স্কুল চালুর দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। শ্রেণিকক্ষ খোলার আর্জি জানিয়ে শিক্ষা দফতরের চিঠি গিয়েছে নবান্নে। সোমবারই এই বিষয়ে সবুজ সংকেত মিলতে পারে বলে মনে করছেন বিকাশ ভবনের শিক্ষা কর্তারা৷ মাঝে অল্প কিছুদিন বাদ দিলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ দ্বিতীয় দফায় স্কুল খোলে ১৬ নভেম্বর৷ ৩ জানুয়ারি তা ফের বন্ধ হয়ে যায়। তবে সবটাই অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির৷ ২০২০ সালের মার্চের পর এক দিনের জন্যেও স্কুলমুখো হয়নি প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়ারা৷
চিকিৎসকদের একাংশের মতে, টানা বাড়িতে থাকার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছে পড়ুয়ারা। এমতাবস্থায় স্কুল শিক্ষা দফতর আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ওয়েবিনার সিরিজ করবে। সিরিজের নাম ‘উজ্জীবন চর্চা।’ এদিকে, বাংলার চেয়ে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বেশি হলেও সে রাজ্যে ২৪ জানুয়ারি থেকে স্কুল খুলে যাচ্ছে৷ অথচ এ রাজ্যে বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে৷ স্কুল খোলার দাবিতে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ৷