কলকাতা: করোনা অতিমারীর মোকাবিলায় লকডাউনের পর থেকে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজ। আনলক প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হলেও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের ঝুঁকি নিতে রাজি হয় নি অভিভাবক কিংবা সরকার, কেউই। কিন্তু অতিমারীর অন্ধকার কাটিয়ে বাজারে এসেছে করোনা ভ্যাকসিন। এমতাবস্থায় কবে খুলবে স্কুল কলেজ? ক্রমেই জোরদার হয়েছে সেই প্রশ্ন।
করোনা পরবর্তীকালে দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই ধাপে ধাপে পুণরায় স্কুল কলেজ চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সম্ভাবনায় পশ্চিমবঙ্গে এখন বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোট। আর দু-আড়াই মাস পরে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে রাজ্যের ভোট পূর্ববর্তী আবহ এখন রীতিমতো উত্তপ্ত। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ধাপে ধাপে স্কুল কলেজ খোলার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল এ রাজ্যে, ফের তাতে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
সূত্রের খবর, অফলাইন মাধ্যমে স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করেছে রাজ্য। ভোটের দিনক্ষণের বিষয়ে চাওয়া হয়েছে নিশ্চিত উত্তরও, যাতে তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে শিক্ষা দফতর। জানা গেছে, রাজ্যকে আশ্বাস দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রয়োজনে বোর্ডের পরীক্ষা গুলির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে ভোটের তারিখ এগিয়ে আনা হবে।
এদিকে স্কুল কলেজ কবে খুলবে তা নিয়ে ধন্দে পড়ুয়ারাও। লকডাউনের পর থেকে অনলাইন মাধ্যমেই চলছে বেশিরভাগ স্কুল কলেজের পঠনপাঠন প্রক্রিয়া। অফলাইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা জানতে পড়ুয়ারা ব্যতিব্যস্ত করে তুলছে শিক্ষকদের। এ প্রসঙ্গে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স (অটোনোমাস) কলেজের প্রধান ডমিনিক স্যাভিও জানিয়েছেন, “অফলাইন ক্লাসের জন্য কবে ক্যাম্পাস খুলবে, তা জানতে চেয়ে বহু ছাত্রছাত্রী আমাদের ই-মেল পাঠিয়েছে। আমরা বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফেব্রুয়ারির শেষ কিংবা মার্চের শুরু থেকে বিজ্ঞান বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করার জন্য ক্যাম্পাস খুলব।”
এ প্রসঙ্গে শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “অনেক রাজ্যেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের মধ্যে থেকে করোনা আক্রান্তের খবরও পাওয়া গেছে।ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার আগে তাই সকলের নিরাপত্তা ভীষণ জরুরি।”