কলকাতা: ইতিমধ্যেই দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন ওড়িশা সরকার। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গেও যে ১৪ এপ্রিল লকডাউন তোলা যাবে না, তেমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার করোনা নিয়ে রুটিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য সভার প্রতিনিধিরা। এই বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে ১১ এপ্রিলের পর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে রাজ্যের স্কুলগুলি এখনই খোলা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও ঠিক কোন তারিখে স্কুল খুলবে সেবিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেননি।
তবে স্কুল না খুললেও, মে মাসের শুরুতেই স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ এদিকে সরকারি স্কুলের ছুটির তালিকায় ২৩ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটির কথা উল্লেখ করা আছে৷ তাই শিক্ষকমহলের একাংশ মনে করছেন এই সময়ের আগে লকডাউন উঠে গেলেও গরমের ছুটি কাটিয়েই স্কুল খুলতে পারে৷ এর আগেই লকডাউনের জন্য স্কুলের পরীক্ষা বাতিল, বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া, এমনকি খাতা দেখার সময়সীমাও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাবর্ষের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে পড়াশোনা চালুর কথা বলেও অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে সময় নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় শেষপর্যন্ত পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় শিক্ষা দপ্তর।
লকডাউনের জেরে একদিকে যখন স্কুল বন্ধ রাখার কথা ভাবছে সরকার। তখন বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েন, বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই এনিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। এই দুঃসময়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেসরকারি স্কুলগুলিকে ফি না বাড়ানোর আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
যদিও স্কুল বন্ধ থাকলেও ফি দেওয়ারর বিষয়টি নিয়ে এরমধ্যেই স্যোশাল মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোনা মতামত গ্রহণ শুরু হয়েছে। অনেকেই নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। সরকারকেও আবেদন জানানো হয়েছে পুরো বিষয়টি চিন্তা ভাবনা করে দেখতে । তবে তার আগেই শহর কলকাতার বেশকিছু নামিদামী বেসরকারি স্কুল অর্ধেক ফি নেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। এমনকি লকডাউনের জন্য স্কুলের ফি জমা না করতে পারলে তার জন্য কোনো ফাইন হবেনা বলেও জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।