আরও বাড়ল স্কুল বন্ধের মেয়াদ, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

আরও বাড়ল স্কুল বন্ধের মেয়াদ, ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

 

কলকাতা: আরও এক দফা বাড়ল স্কুল বন্ধের সময় সীমা৷ করোনা সর্তকতা বিধি মাথায় রেখে স্কুল বন্ধের রাখার মেয়াদ আরও বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ এর আগে স্কুল বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

আজ আজ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ সেখানে শিক্ষামন্ত্রপী জানান, একাডেমিক সেশন এখনই চালু হবে না৷ অন্যান্য রাজ্যগুলি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে কোনও ভাবেই সমঝোতা করা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ 

উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সমস্ত করোনা সর্তকতা মেনে কীভাবে নতুন করে পঠন-পাঠন শুরু করা যায় তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে৷ স্বাস্থ্যবিধি ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শিক্ষামন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী জুলাই পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে৷ ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের উপর জোর দেওয়া হবে৷ শিক্ষক-পড়ুয়ারা যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেন, তারও বার্তা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘এই সংকট সময়ে আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা৷ আমরা জুলাই মাসে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং উচ্চশিক্ষায় যে সমস্ত পরীক্ষাগুলি আছে, এগুলি সম্পর্কেও দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷

গত ১০ জুন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘‘পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের। কিন্তু সেটাও আমরা সভ্য সমাজ, শিক্ষা সমাজ, সবাই চিন্তা ভাবনা করে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি। তাদের কোন শূন্যতা না হয় তার সেটা দেখে নিতে হবে। ছাত্রদের স্বার্থে কাজ করতে হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত আমরা স্কুল-কলেজ ছুটি দিয়েছি। আমার মনে হচ্ছে, এটা জুলাই মাস হয়ে যাবে৷ কিন্তু জুলাই মাসে ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ঘোষণা হয়েছে৷ কিন্তু স্কুল জুলাই মাসে চলবে না৷ পরীক্ষাগুলি যেটা আছে সেটা হবে৷ শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন৷ অভিভাবকরা সহযোগিতা করছেন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + one =