শাম্মী হুদা: বেআইনি বালি খাদানের বিরোধিতা করে রাজ্যের সুরক্ষার আবেদন কিশোরীর, সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই সাড়া পড়েছে ঈশ্বরের আপন দেশে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন কেরালার কথা বলছি।রাজ্যে কোল্লাম জেলার আলপ্পাদ অঞ্চল, এখানকার মাটিতেই রয়েছে দুষ্প্রাপ্য সব মিনারেল, যা কুক্ষিগতকরতে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুটি সংস্থা এক নাগারে বালি তুলে চলছে।
এর জেরে গোটা আলাপ্পাদের ভূস্তর দুর্বল হয়ে পড়ছে ক্রমশ। প্রাকৃতিক বিপর্যয় যে দূরে নেই সাম্প্রতিক বন্যাই তার প্রমাণ, এহেন পরিস্থিতিতে পরিবেশবাঁচাতে রাজ্যবাসীরদৃষ্টি আকর্ষণেরচেষ্টা করল বছর ১৭-র কাব্য। তার সমবয়সী বন্ধুরা যখন মোবাইল হাতে পেয়ে কোনও জোকস বা ফিল্মের ক্লিপিংস বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করছে,তখন সে নিজেই ভিডিও তৈরি করে ফেলল, মাটি বাঁচানোর ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নজর কেড়েছে।
সরাসরি পদক্ষেপ নিয়েছে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল,কোল্লামের জেলাশাসককে ডেকে বেআইনি বালি খাদানের বিশদ রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ভিডিওচর মাধ্যে কাব্য সরকারে কাছে আবেদন রেখেছে।আলাপ্পাদের বাসিন্দারা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ঘুমোতে যান।কারণ সকাল হলেই হয়তো দেখবেন তাঁর বাড়িটাই ঘিরে ফেলেছে খাদান কর্মীরা।এবার তাঁদের উৎখাত করে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা দুটি বেআইনি ভাবে বালি তুলে চলেছে,কালোবালি যা কেরালার নিজস্ব সম্পদ। যা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে কেরালার মানচিত্র থেকে আলাপ্পাদ অঞ্চলটি মুছে যাবে। সমগ্র রাজ্যবাসীকে সচেতন করতে চেয়েছেন তিনি, একটাই উদ্দেশ্য আলাপ্পাদকে বালি রাক্ষসদেরহাতথেকে বাঁচানো,একই সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে রুখে দেওয়া।
প্রতিদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে অন্যান্য প্রতিবাদীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে কাব্যও চায় বেআইনি বালিখাদানের অভিশাপ থেকে নিজের গ্রামকে বাঁচাতে। এভাবেই লোভের গ্রাস থেকে প্রাকৃতিক সম্পদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুক প্রত্যেকটা মানুষ যাঁদের পথ প্রদর্শকের ভূমিকায় রয়েছে ওই কিশোরী।