আজ বিকেল: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হালহকিকত নিয়ে বলতে গেলে ইতিহাস রচনা হয়ে যাবে। বর্তমান তৃণমূল সরকার শিক্ষার মানকে অনেক নিচে নামিয়ে এনেছে, এমনটাই অভিযোগ শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীদের। অভিযোগ, প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, টেট স্কুল সার্ভিস সবেতেই স্বজন পোষণের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে বর্তমান রাজ্যসরকার।
পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও মিলছে না চাকরি, অথচ অনুত্তীর্ণরা রীতিমতো অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়ে কর্মস্থানে চলে গিয়েছেন, কাজও করছেন। আর সসম্মানে পাশ করা প্রার্থীরা বিচারের আশায় দিন কাটাচ্ছেন। ২০১৪-র টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা এখনও বেকার, মাদ্রাসা শিক্ষকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছেন। পুলিশ সেই শান্তিপূর্ণ অনশনকারীদের উপরে লাঠি চালাতেও দ্বিধাবোধ করেনি। একই অবস্থা এসএসকে, এমসকে শিক্ষকদের, তাঁদেরও বেতন বৃদ্ধির নামগন্ধ নেই, প্রতিবাদ করলেই জুটছে মারধর।
এসএসসি-র প্রশ্নপত্রে প্রশ্ন ভুল হল, হাইকোর্টে মামলা উঠলে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান, ৪০০ জন প্রার্থীকে চাকরি দিতে হবে, এটাই কেসারত। বলা বাহুল্য, হাইকোর্টের েই রায়কে পাত্তাই দেয়নি রাজ্য সরকারর। উপায় না দেখে প্রার্থীরাই মামলা দায়ের করেন সেই মামলার রায়ও প্রায় একই হয়। এখানেই শেষ নয়, এসএসসি-র রেজাল্ট বেরোলে দেখা যায় খুব কম সংখ্যাক প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই উত্তরপত্র মানতে পারেননি প্রার্থীরা তাঁরা আদালের দ্বারস্থ হয়েছেন। জানা গিয়েছে, সেবার এসএসসি-তে কার পাশ করবে আর করবে না তা ঠিক করেছে তৃণমূলের বিভিন্ন সারির নেতারা। তাই অযোগ্যরা চাকরি পেলেও উত্তীর্ণ প্রার্থীরা এখনও বিচারের আশায় লড়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি কম্পিউটার প্রশিক্ষকদের বেধড়ক মারল পুলিশ। কলকাতার রাজপথে পুলিশের মারে আহত হলে অনেকেই। তাঁদের মধ্যে ৩৭জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন। পাঁচ আন্দোলকারী প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে পুলিশ। রাজ্যে এই সব প্রশিক্ষককে সাড়ে চারহাারের মতো মাইনে দেয়। যদিও আইন বলছে এঁদের বেতন হওয়া উচিত ১২ হাজার টাকা। তাহলে বাকি টাকা এই প্রশিক্ষকদের না দিয়ে কোথায় যায়, তার উত্তর মেলেনি।