কলকাতা: দেশ তথা রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য গত বছর থেকেই বন্ধ হোক সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখনও পর্যন্ত চলছে অনলাইন ক্লাস এবং স্কুল খোলার কোনও সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। যদিও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে রাজ্যের স্কুল খোলার চিন্তা ভাবনা করছে সরকার দুর্গাপুজোর পরে। যদিও এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছুই বলা হয়নি। কিন্তু দু’বছর পর স্কুল যে খুলবে তার একটা আশা দেখা গিয়েছে, এবং এই প্রেক্ষিতে স্কুলগুলি আদতে কেমন রয়েছে তা জানতে চাইল শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন- ভোজ্য তেলে ভেজাল আটকাতে বড় উদ্যোগ রাজ্যের
সমস্ত স্কুল ভবন, শ্রেণিকক্ষ, শৌচালয়, স্কুলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রান্নাঘর, সব ঠিকঠাক আছে কিনা এই ব্যাপারে জানতে চাইল স্কুল শিক্ষা দফতর। এই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, স্কুল খোলার আগে প্রতিষ্ঠান পরিকাঠামোর খুঁটিনাটি জানাতে হবে তাদের এবং একই সঙ্গে এটাও জানাতে হবে যে কতটা মেরামতির দরকার রয়েছে এবং তাতে আনুমানিক কত খরচ পড়বে। সমস্ত তথ্য দেওয়ার জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে স্কুল গুলিকে। সমস্ত স্কুল গুলিকে তাদের পরিকাঠামো সংক্রান্ত সবিস্তার তথ্য জেলা স্কুল পরিদর্শককে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আগামী দিনে পদক্ষেপ নেবে স্কুল শিক্ষা দফতর। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অধিকাংশ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা। যদিও তাদের বক্তব্য, পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক এবং পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি ক্লাস চালু করা হোক।
আরও পড়ুন- প্রার্থী করেনি দল, ভবানীপুরে ‘বড়’ দায়িত্ব পেলেন রুদ্রনীল
তবে এই পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনও জটিলতা রয়েছে। কারণ অভিভাবকদের একাংশ এখনো নিজেদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান না। তাদের বক্তব্য, স্কুল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছে যে ছেলে মেয়েদের নিজেদের দায়িত্ব স্কুলে পাঠাতে হবে। আপাতত রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনই এই ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছেন না অভিভাবকদের অধিকাংশ। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি পড়ুয়াদের দায়িত্ব না নেয় তাহলে কীসের ভরসায় তারা নিজের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারেন? তবে এটাও ঠিক যে দীর্ঘ সময়ে অফলাইন পঠন পাঠন বন্ধ থাকায় অনেক পড়ুয়াই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমন অনেক গরিব বাচ্চা রয়েছে যারা মিড ডে মিল না পাওয়ার কারণে পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। তাই অক্টোবর মাসে বা তারপরে নয়, এখনই অর্থাৎ আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই স্কুল খোলার পক্ষপাতী অনেকেই।