স্কুলের সময়সীমা কমতে চলেছে? পড়ুয়াদের শারীরিক-মানসিক স্থিতি নিয়ে চিন্তা

কলকাতা: ক্লাস যত বাড়ছে, চাপ যত বাড়ছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা ছাড়া বাকি কিছু করার সময় কোথায়? সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরিয়ে বিকেল, শৈশবের গুরুত্বপূর্ণ সময়ের একটা বড় অংশ চলে যাচ্ছে স্কুলের ক্লাসরুমের চার দেওয়ালের মধ্যেই। এতএব হচ্ছে না খেলাধুলো, অবসর সময় পাওয়া, এমনকি পর্যাপ্ত ঘুমও। এই অবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করছে।
জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে স্কুলের সময়সীমা কমানো যায় কিনা। যদিও এই সময়ের বিষয়টি একেক স্কুলের জন্য একেক রকম। কোনও স্কুল শুরু হয় ১১টা থেকে, চলে ৪টে পর্যন্ত। আবার কোনও স্কুলের সময়কাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ৪টে। কোনও স্কুল আবার ৫টা পর্যন্তও খোলা। তবে এই ইস্যুতে অভিভাবকদের একাংশের অন্য প্রশ্নও আছে। তাদের বক্তব্য, শুধু স্কুলের সময়সীমার জন্যই যে ছেলেমেয়েদের অন্যান্য বিকাশে সমস্যা হবে তা নয়। স্কুল ছাড়াও হোমটাস্কের জন্যে বাড়িতে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশনও আছে। তা হলে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলো, শরীরচর্চা এবং ঘুমের সময় হবে কী করে?
দেখা গিয়েছে, স্কুল তথা পড়াশুনার অতিরিক্ত চাপের জন্য বাচ্চাদের নানা রকম ক্রনিক স্বাস্থ্য-সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত শিশু সুরক্ষা কমিশন থেকে অভিভাবকরাও। যদিও একাধিক স্কুলের তরফে জানান হয়েছে, বছরে স্কুলে কত দিন ও কত ঘণ্টা ক্লাস হবে, সেটা চূড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট বোর্ড। এ ব্যাপারে স্কুলের হাতে কিছু থাকে না।