পঠন-পাঠন চালু করার দাবি আরও জোরাল, চাপ বাড়ছে রাজ্যের

পঠন-পাঠন চালু করার দাবি আরও জোরাল, চাপ বাড়ছে রাজ্যের

কলকাতা: করোনা বিধি মেনে সমস্ত কিছু চললেও প্রাথমিক স্তর থেকে পঠন-পাঠন চালু না করবার প্রতিবাদে ‘চলো স্কুলে পড়াই’ এবং স্কুলে স্কুলে নেতাজি জন্ম দিবস পালনের আহ্বান জানাল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। ফের একবার এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে তারা এবং অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে।

স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে রাজ্য সরকার ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে মেলা, যাত্রা, শপিং মল, মদ দোকান ইত্যাদি এমনকি ২০০ জন নিয়ে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান করবার অনুমতি দিয়েছে। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক স্তর থেকে পঠন-পাঠন চালুর দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘সারা বাংলা প্রতিবাদ সপ্তাহ’ এবং ‘চলো স্কুলে পড়াই’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে আগেই। সরকার লকডাউনে ধাপে ধাপে সবকিছু ছাড় দিলেও স্কুল চালু করবার কথা বলছে না। উপরন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে মিড-ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সার্কুলার করেছে। এমনকি আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬ তম জন্ম দিবস পালনেরও সার্কুলার দেওয়া হল না বলে অভিযোগ তাদের।

এক সাংবাদিক বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা বলেন, সরকারের এহেন সর্বনাশা শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শত শত শিক্ষক নিজেদের বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে মাঠে, ক্লাবঘরে বা বারান্দায় কোথাও পাড়ায় পাড়ায় পড়ানো শুরু করেছেন। প্রতিদিন এই সংখ্যা বাড়ছে। তিনি সমস্ত স্তরের শিক্ষকদের কাছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক স্তর থেকে অবিলম্বে পঠন-পাঠন চালু না করা পর্যন্ত স্কুলের ছাত্রদের পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রতিটি স্কুলে নেতাজি জন্ম দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবার আহ্বানও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + nine =