কলকাতা: অনলাইন-অফলাইনের মিশ্র শিক্ষণে আখেরে ক্ষতি হবে পড়ুয়াদের। ইউজিসিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল রাজ্যের একাধিক অধ্যাপক সংগঠন৷ চলতি শিক্ষা ব্যবস্থায় আশঙ্কা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে অনলাইন শিক্ষার দিকে ঝুঁকতে চাইছে ইউজিসি৷ শ্রেণিক্ষার বিকল্প অনলাইন পঠনপাঠন বিকল্প হতে পারে না৷
‘ব্লেন্ডেড সিস্টেম’ নিয়ে মতামত জানতে চেয়েছিল ইউজিসি৷ ইউজিসির তরফে উপাচার্যদের জানানো হয়, পাঠ্যক্রমের ৪০% কি অনলাইনে পড়ানো সম্ভব? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের মতামতে উঠে এসেছে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া৷ অধ্যাপক সংগঠনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট থেকে শুরু করে অ্যান্ড্রয়েড ফোন, দেশের একটা বিরাট অংশের ছাত্রছাত্রীর কাছে কার্যত স্বপ্নের মতো৷ অনলাইন পদ্ধতি চালু হলে, ওই অংশের পড়ুয়াদের কী হবে? করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষার চল বাড়লেও কখনওই শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না৷ অধ্যাপক সংগঠনের মতে, এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে৷ যাতে আখেরে ছাত্রছাত্রীরা গভীরভাবে জ্ঞান আহরণে ব্যর্থ হবেন৷ মহামারীর আবহে এই ব্যবস্থা চালুর জন্য ইউজিসির অতি সক্রিয়তার সমালোচনাও করা হয়েছে সংগঠনের তরফে৷ আশঙ্কা, এই নীতি কার্যকর হলে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বেসরকারি পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটবে৷ কর্পোরেট স্বার্থে এসব নীতি কার্যকর হলে শিক্ষকদের ক্ষতি৷