কলকাতা: রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত আর একটু উসকে দিলেন রাজ্যের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজভবন থেকে তাঁদের কাছে সোম ও মঙ্গলবার দুটো চিঠি গিয়েছে। এই দুটো চিঠিতে তাঁরা আতঙ্কিত ও আপমানিত। সেই কারণে তাঁরা আচার্যেডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন না।
করোনা ভাইরাসের আবহে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে আলোচনার জন্য উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের ডাক দেন তিনি। এই বিষয়ে ৭ দুলাই উপাচর্যদের কাছে একটি চিঠি পাঠান। সেই চিঠির পালটা উত্তর দেন উপাচর্যরা। তাঁরা জানান, রাজ্যের নয়া বিধি অনুযায়ী সেই চিঠি উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে তাঁদের কাছে যাওয়ার কথা। এরমধ্যেই রাজভবন থেকে ১৩ ও ১৪ জুলাই দুটো চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে উপাচার্যদের অপমানিত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপাচার্য পরিষদের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয় , ১৩ জুলাই রাজভবন থেকে অপমানকর চিঠি উপাচার্যদের কাছে এসে পৌঁছয়। এরপর ১৪ জুলাই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ভয় দেখিয়ে ফের রাজ্যপালের তরফে চিঠি পাঠানো হয়। এতে তাঁরা আপমানিত বোধ করছেন। তাঁরা তাই রাজ্যপালের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন না। তাঁরা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের কাছ থেকে এই রকম চিঠি পাওয়া অপমানজনক বলে মনে করেছেন।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা উপাচার্য পরিষদের সম্পাদক সুবীরেশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যপালের চিঠিতে যে ধরণের ভাষার ব্যবহার করা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের চিঠি উপাচার্যদের জন্। অপমানকর।উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আমরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারব না।’