পুরভোটের পরেই TET বিজ্ঞপ্তি, কীভাবে নেবেন প্রস্তুতি? মেনে চলুন এই পরামর্শ

ছাত্রছাত্রীদের মানসিক প্রস্তুতির কৌশল রপ্ত করার ক্ষেত্রেও অসম্ভব কার্যকরী। যদিও সাফল্যের জন্য কৃতিদের কৃতিত্বকেই প্রাধান্য দেন তিনি। নিজেকে শুধুমাত্র সহযোগীর মনে করেন।

কলকাতা: দেশে বেকারত্ব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী শিক্ষিত যুবসমাজ। দিনের পর দিন বেকারত্বের হতাশা গ্রাস করছে তাদের। আর এরমধ্যেই দীর্ঘ পাঁচ বছরের মাথায় এবছর পশ্চিমবঙ্গ টেট পরীক্ষার সম্ভাবনা প্রবল। দিনক্ষণ সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও পুরভোটের পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি হবে বলে সূত্রের খবর। তেমন হলে পুজোর আগেই টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হতে পারে। আর এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটা সুযোগ হাতে পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখছেন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীব।  তাই প্রতিযোগিতার দৌড়ে টিকে থাকতে এখন থেকেই জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। আর এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য নিশ্চিত করতে শিক্ষক কামাল হোসেনের পরামর্শ পরীক্ষার্থীদে কাছে যেন জীবনদায়ী ওষধি।

পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে তাঁর পরামর্শ শুধু শিক্ষাগত কৌশল নয়, ছাত্রছাত্রীদের মানসিক প্রস্তুতির কৌশল রপ্ত করার ক্ষেত্রেও অসম্ভব কার্যকরী। যদিও সাফল্যের জন্য কৃতিদের কৃতিত্বকেই প্রাধান্য দেন তিনি। নিজেকে শুধুমাত্র সহযোগীর মনে করেন। সম্প্রতি বিশ্ববাংলা সংবাদ মাধ্যমে সম্ভব্য প্রাথমিক টেট নিয়ে তাঁর মূল্যবান কিছু পরামর্শ ও তথ্য দিলেন কামাল হোসেন স্যার। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য পেডাগগি বিষয়টি নিয়ে উৎসাহী তিনি। কারণ শিক্ষার শুরুতেই ছোট ছোট পড়ুয়াদের শক্ত ভিত গঠনের জন্য প্রত্যেক শিক্ষকের এই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা প্রয়োজন বলেই মনে করেন তিনি। কিভাবে মজাদার কৌশলে সহজেই ছোট ছোট পড়ুয়াদের কাছে কঠিন বিষয়গুলিকে সহজবোধ্য ও দীর্ঘদিন মনে রাখার মতো করে তোলা যায় তারও উদাহরণ তুলে ধরলেন। পাশাপাশি শিক্ষক পদের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ভীতি কাটাতেও বেশ কিছু বিষয় সহজে মনে রাখার কৌশল বলে দিলেন। যেমন বোঝালেন, বাংলা ব্যাকরণের তির্যক বিভক্তি।

এক্ষেত্রে  'এ কে তেড়ে এল'-এই বাক্যটি মনে রাখলে সহজেই লেখা যাবে তির্যক বিভক্তি। একইসঙ্গে টেটের বিষয় হিসেবে ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান মনে রাখার সহজ উপায়গুলিও সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন। নিজে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক, কিন্তু চাকরির পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের বাংলা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতেও অত্যন্ত সাবলীল তিনি। কারণ ছাত্র পড়ানোর কৌশল রপ্ত করতে এই বয়সে নিজেও রীতিমতো পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন কামাল হোসেন। নিজেই জানিয়েছেন, বিদেশি বই পড়ে এইসমস্ত কৌশল রপ্ত করেন। দৈনন্দিন জীবনের কঠিনতম বাস্তবের সম্মুখীন যুবসমাজকে হতাশা কাটিয়ে নতুন সফল পথের দিশা দেখাতে বদ্ধপরিকর কামাল হোসেন স্যার। বিশেষত দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তোলার লক্ষ্যে তাঁর অবদান সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − twelve =