কেউ আসক্ত গেমে, কেউ বুঁদ পর্নোগ্রাফিতে, ছয় দিনেই স্কুল হোক, চাইছেন অভিভাবকরা

কেউ আসক্ত গেমে, কেউ বুঁদ পর্নোগ্রাফিতে, ছয় দিনেই স্কুল হোক, চাইছেন অভিভাবকরা

কলকাতা:  করোনা আবহে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল স্কুল৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে কিছু দিনের জন্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্কুল খুললেও ফের করোনা কাটায় তা বন্ধ হয়ে যায়৷ তাই পঠন পাঠন চলছে অনলাইনেই৷ পড়াশোনার জন্য মিলেছে স্মার্ট ফোনও৷ কিন্তু পড়ার চেয়ে সেই স্মার্ট ফোনে বেশির ভাগ সময় গেম খেলেই কাটছে পড়ুয়াদের৷ কেউ আবার বুঁদ পর্নোগ্রাফির সাইট সার্চে৷ তাই অভিভাবকরা চাইছেন, ছয় দিনই স্কুল খোলা থাক৷ তাতে যদি ফোনের প্রতি আসক্তি কিছুটা হলেও কমে৷ 

আরও পড়ুন- বধূবেশে পরীক্ষার হলে!

গত ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খুলেছে রাজ্যে৷ প্রথমে বলা হয়েছিল সোম থেকে শনি প্রতিদিনই নবম থকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে৷ কিন্তু পরে দিন ভাগ করে দেওয়া হয়৷ অর্থাৎ প্রতিদিন স্কুলে যেতে হচ্ছে না সকল পড়ুয়াদের৷ কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন অনেক অভিভাবকই৷ তাঁর চাইছেন সপ্তাহে ছয় দিনই ক্লাস করুক ছেলেপুলেরা৷ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে শনিবার বিভিন্ন স্কুলে অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকরা বৈঠকে বসেছিলেন। ওই বৈঠকেই এই আর্জি উঠে এসেছে৷ 

ওই বৈঠকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে অভিভাবকরা জানান,  গত দেড় বছর অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকায় অনেকেই আবার আশপাশের কুসঙ্গে জড়িয়েছে। আগের মতো প্রতিদিন ক্লাস চালু হলে মোবাইলের প্রতি আসক্তি এবং সঙ্গ দোষ কাটবে বলেই মনে করছেন অভিভাবকেরা।

পর্ষদের নির্দেশে আয়োজিত বৈঠকে শহরের স্কুলগুলিতে ভালোই সাড়া দিয়েছেন অভিভাবকরা৷ তবে গ্রামের দিকে তেমন সাড়া মেলেনি৷ গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ স্কুলেই অভিভাবকদের উপস্থিতির হার ছিল ২৫ শতাংশের কম৷ এর অন্যতম কারণ হল, এখন ধান কাটার সময়। ফলে অনেক অভিভাবকই ধান কাটায় ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি৷ তবে ছেলেমেয়েদর সপ্তাহভর ক্লাসের পক্ষে মত প্রকাশ করেছে শহর এবং গ্রামে প্রায় সকল অভিভাবকই৷ কোনও কোনও অভিভাবক এও জানিয়েছেন, ছেলেমেয়ের ফোনে রিচার্জ করতে গিয়ে তাঁরা হিমশিম খাচ্ছেন৷ সব ছেড়ে তাঁদের মন আটকে শুধু মোবাইলে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + 13 =