মুর্শিদাবাদ: টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও পরীক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারবে৷ শুক্রবার মুর্শিদাবাদের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের স্কুল জেলা পরিদর্শকের অফিস থেকে বেরহামপুর ব্লক এবং পুরসভার স্কুলগুলিকে পাঠানো এমনই একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷
এই বিজ্ঞপ্তিকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোন নিয়ম বিধি মেনে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সে বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ এই নির্দেশিকাকে ‘‘ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন” বলে উল্লেখ করেছেন সমিতির সদস্যরা৷ একইসঙ্গে এর মাধ্যমে ডি আই সরকারি শিক্ষার ব্যবস্থাকেই অপমান করলেন ড়লেও মত প্রকাশ করেন তারা৷ স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে “এবার থেকে কি তাহলে টেস্ট পরীক্ষাই কি উঠে যাবে?’ অবিলম্বে এই আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত শিক্ষা দপ্তরের, এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তারা৷
এবিষয়ে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, ‘‘কোন জেলার ডিআই কোনোভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন না কোনো বিদ্যালয়েকে৷ একটি বিদ্যালয়ের স্বাধিকারের উপর হস্তক্ষেপ এটি৷ বিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে৷ এটাই নিয়ম৷ তীব্র প্রতিবাদ জানাই ডিআই-এর এই নির্দেশকে৷ অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি৷’’ ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা দপ্তর, মুর্শিদাবাদ জেলার ডিআইয়ের কাছে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ঐতিহাসিক৷ নজিরবিহীন৷ তীব্র প্রতিবাদ জানাই৷ এর মাধ্যমে ডিআই সরকারি শিক্ষার ব্যবস্থাকেই অপমান করলেন৷ এটি পরীক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ প্রহসনে পরিণত করার একটি সরকারি নির্দেশ৷ এবার থেকে তাহলে টেস্ট পরীক্ষাই কি উঠে যাবে? একজন ডিআই কীভাবে এই রকম নির্দেশ দিতে পারেন?অবিলম্বে এই ডিআইয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত শিক্ষা দপ্তরের৷’’
মুর্শিদাবাদের শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ডিআইয়ের উচিত অবিলম্বে এই নির্দেশ প্রত্যাহার করা৷ শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের কাজে আধিকারিকদের হস্তক্ষেপ করা কাম্য নয়৷