কলকাতা: করোনা আবহে বদলে গিয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা৷ বদলে গিয়েছে আগের সমস্ত রীতিনীতি৷ করোনা সংক্রমণ রুকতে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে রয়েছে স্কুল-কলেজ৷ কিন্তু তার মধ্যে থেমে থাকেনি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা৷ করোনার কারণে পরীক্ষা ব্যবস্থাতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন৷ বাড়িতে বসেই রীতিমতো চলছে ওপেন বুক পদ্ধতিতে পরীক্ষা৷ আজ থেকে রাজ্যজুড়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এতদিন যেখানে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার ছিল অপরাধ, আজ করোনা আবহে সেই মোবাইল পরীক্ষার অন্যতম মাধ্যম৷ করোনাকালে এর আগে এমন কোনও পরীক্ষা দেখেনি গোটা বাংলা৷ নোটস দেখে, পরীক্ষা দিয়েছেন বহু পরীক্ষার্থী৷ মোবাইল, খাতা বই খুলে চলছে অভিনব পরীক্ষা৷
পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়ার চল রয়েছে বঙ্গে৷ কিন্তু, এবার সেই মোবাইল ব্যবহার করে অভিনব পরীক্ষার সাক্ষী থাকাল বাংলা৷ মোবাইল পাশে রেখে অনলাইনে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে পরীক্ষা দিতে কার্যত বাধ্য হলেন পরীক্ষার্থীরা৷ পরীক্ষাকেন্দ্রে নেই কোনও নজরদারী৷ নেই কোনও বন্ধুদের উঁকিঝুঁকি৷ নকল করার প্রবণতা৷ বাড়িতে বসে মোবাইল পাশে রেখে, খাতা-বই খুলে পরীক্ষা দিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা৷ লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স ওপেন বুক ফোরামে পরীক্ষা নিয়ে থাকে৷ কিন্তু বাংলায় বাংলায় নকল করা অপরাধ৷ মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকলে বাতিল হয়ে যায় পরীক্ষা৷ কিন্তু, করোনাকালে সেই মোবাইলে প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে চলছে নজিরবিহীন পরীক্ষা পর্ব৷
আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা৷ বাড়িতে বসে পরীক্ষা দিতে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷
ইউজিসির নির্দেশ অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চূড়ান্ত বর্ষ পরীক্ষা নিচ্ছে৷ ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সব পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে৷ প্রশ্নপত্র ডাউনলোড ও আপলোডের জন্য ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ হয়েছে৷ পরীক্ষা দিতে হবে দু’ঘণ্টায়৷ কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা শুরু হলেও প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষার্থীদের একাংশ পড়েছেন বিপাকে৷ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপে ইন্টারনেট সংযোগ অত্যন্ত দুর্বল৷ ফলে, সেখানে প্রশ্নপত্র ডাউনলোডে সমস্যায় পড়তে হয়েছে পড়ুয়াদের একাংশের৷