শিক্ষকের অভাবে বন্ধের মুখে স্কুল, বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

শিক্ষকের অভাবে বন্ধের মুখে স্কুল, বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

কলকাতা:  শিক্ষকের অভাবে বন্ধের মুখে একাধিক স্কুল! দিন দিন বেড়ে চলেছে স্কুল ছুটের সংখ্যা৷ এ বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা৷ এর প্রেক্ষিতে এদিন আদালত জানায়, গোটা রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির কি অবস্থা? স্কুলগুলিতে ছাত্রসংখ্যা অনুপরাতে কতজন শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন, সেই রিপোর্ট হলফনামা আকারে হাইকোর্টে জমা দিতে হবে রাজ্যকে৷ এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাদেশ বিন্দালের ভিভিশন বেঞ্চ। 

আরও পড়ুন- দেশে চিহ্নিত ২৪টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলায় রয়েছে ২টি

বেঞ্চের মন্তব্য, ‘ডেটা ছাড়াই সরকারি স্কুল চালাচ্ছে রাজ্য৷ যদি রাজ্যের কাছে ডেটা না থাকে, তাহলে সেটা বিস্ময়কর!’ এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য রাজ্যের তরফে সময় চাওয়া হয়েছে৷ যদিও আদালত মনে করে এর জন্য একটা দিনই যথেষ্ট৷ আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই তথ্য জমা দেবে রাজ্য৷  

আরও পড়ুন- লাটে স্কুল শিক্ষা, লোপাট পড়ুয়াদের মৌলিক শিক্ষা! রিপোর্ট সংসদীয় কমিটির

বাঁকুড়ার আসানাসোল এলাকায় ৩টি স্কুল আছে। এই তিনটি স্কুল হল আসানসোল জুনিয়র হাইস্কুল, নিউ সেট আপ স্কুল এবং আসানাসোল উচ্চ বিদ্যালয়৷ যার মধ্যে একটি স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু এর পরেও ওই স্কুল থেকে শিক্ষকদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে না৷ আবার বাকি দুটি স্কুলে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। প্যারা টিচার দিয়ে পড়ানো হচ্ছে। সেই কারণে বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। নিয়ম বলছে, কাছের স্কুলেই ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। যা নিয়েই জনস্বার্থ মামলাটি হয়। মামলাটি করেন আইনজীবী শুভ্র প্রকাশ লাহিড়ি। প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৪০ জন ছাত্র পিছু স্কুলে ১ জন শিক্ষক থাকার কথা৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − thirteen =