নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)-র পরীক্ষা পিছনোর আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন প্রার্থীরা৷ কিন্তু সোমবার ইউপিএসসি সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, ৪ অক্টোবরের পর সির্ভিল সার্ভিস পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়৷ নির্ধারিত সূচি মেনেই নেওয়া হবে পরীক্ষা৷ মঙ্গলবার এই বিষয়ে হলফনামা পেশ করার জন্য ইউপিএসসি-কে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি এএম খানভিলকর ও সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে৷
আরও পড়ুন- খুলছে কলেজ, কবে চালু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ? সাফ ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
এদিন ইউপিএসসি সর্বোচ্চ আদালতকে জানায়, আবেদনকারীদের আর্জি মেনে নেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়৷ এর আগে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর৷ করোনা পরিস্থিতির জেরে তা পিছিয়ে ৪ অক্টোবর করা হয়েছে৷ এর পরেও পরীক্ষা স্থগিত করা হলে সরকারের যে চারটি শাখায় নিয়োগের জন্য পরীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্য ব্যহত হবে৷’’
প্রসঙ্গত, ২০ জন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থী পরীক্ষা পিছনোর আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আপিল করেন৷ তাঁদের দাবি, কোভিড প্যান্ডামিকের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যাও দেখা দিয়েছে। এই বিপজ্জনক সময় পরীক্ষার আয়োজন করার অর্থ লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলা৷ পরিস্থিতি বিচার করে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা আরও দুই থেকে তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক৷ তাঁদের আরও দাবি, করোনা সংক্রমণ সত্ত্বেও ইউপিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ায়নি৷ ফলে বহু দূর থেকে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হবে৷ এর ফলে সমস্যায় পড়বেন প্রার্থীরা৷ কিন্তু প্রার্থীদের এই আর্জি মানা সম্ভব নয় বলেই এদিন স্পষ্ট করে দেয় ইউপিএসসি৷
আরও পড়ুন- সোমবার CLAT পরীক্ষা শেষে প্রকাশিত হবে ‘অ্যানসার কি’
এদিকে, ভারতে বিদ্যুৎগতিতে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ৷ আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে৷ মৃত্যু হয়েছে ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষের। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে সুস্থতার হার৷ প্রায় ৫০ লক্ষের বেশি আত্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যদিও ভারতে এখনও অ্যাকটিভ কেস সাড়ে ৯ লক্ষের বেশি। এই পরিস্থিতির জন্যই উদ্বিগ্ন প্রার্থীরা৷