ঐচ্ছিক নয়, প্রধান ভাষা হিসেবেই স্কুল পাঠ্যে ফিরছে সংস্কৃত

আজ বিকেল: পালি প্রাকৃত-র মতো হারিয়ে যাওয়া ভাষার চর্চা হচ্ছে বাংলায়, এমনটা শুনলে মন তো ভাল হবেই। যাঁরা শিক্ষাবিদ বা ভাষাবিদ তাঁরা নতুনভাবে ভাবনাচিন্তা করার সুযোগ পাবেন। একইভাবে উত্তরপ্রজন্মের কাছে প্রাচীন ভারত ধরা দেবে নতুন আঙ্গিকে। এমনকী শুধু সংস্ক-তেই আটকে থাকবে না, ভারতীয় ভাষা চর্চার সীমাবদ্ধতা। শিক্ষা কমিটির উদ্যোগে স্কুল স্তরেই মিলবে প্রাচীন ভাষা শেকার সুযোগ।

fca56e56f7a6c879dc92fb074c912558

ঐচ্ছিক নয়, প্রধান ভাষা হিসেবেই স্কুল পাঠ্যে ফিরছে সংস্কৃত

আজ বিকেল: পালি প্রাকৃত-র মতো হারিয়ে যাওয়া ভাষার চর্চা হচ্ছে বাংলায়, এমনটা শুনলে মন তো ভাল হবেই। যাঁরা শিক্ষাবিদ বা ভাষাবিদ তাঁরা নতুনভাবে ভাবনাচিন্তা করার সুযোগ পাবেন। একইভাবে উত্তরপ্রজন্মের কাছে প্রাচীন ভারত ধরা দেবে নতুন আঙ্গিকে। এমনকী শুধু সংস্ক-তেই আটকে থাকবে না, ভারতীয় ভাষা চর্চার সীমাবদ্ধতা। শিক্ষা কমিটির উদ্যোগে স্কুল স্তরেই মিলবে প্রাচীন ভাষা শেকার সুযোগ।

প্রাচীন ভাষা সংস্কৃত ফিরতে চলেছে স্কুলস্তর এবং উচ্চশিক্ষা স্তরে। ইতিমধ্যেই এ বছরের নতুন শিক্ষা নীতি এই বিষয়ে সুপারিশ করেছে। আগে ৮টি ভাষার মধ্যে বিকল্প ভাষা হিসাবে সংস্কৃতকে রাখা হতো। পুজো সংক্রান্ত কাজে একমাত্র এই সংস্কৃতি ভাষা ব্যবহার করা হয়। যার ফলে এই ভাষা ধীরে ধীরে নিজস্বতা হারিয়ে ফেলছিল। দেশের এই প্রাচীন ভাষার গৌরবকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতেই এই উদ্যোগ নিল নতুন শিক্ষা কমিটি।

এই প্রসঙ্গে শিক্ষা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে,  ভাষা নিয়ে যাঁরা চর্চা করতে চান তাঁদের ক্ষেত্রে এই সংস্কৃত শিক্ষা খুবই উপযোগী হবে। এই শিক্ষা কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইসরো প্রধান কস্তুরিরঙ্গন। তিনিই প্রথম সংস্কৃতর জন্য সুপারিশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতকে অন্য ৮টি ভাষার মধ্যে বিকল্প হিসাবে রাখা হয়েছিল। অনেক পড়ুয়াই অন্য ভাষাকে তাঁদের পাঠ্যে রাখলেও সংস্কৃত নিয়ে কারোরই তেমন আগ্রহ দেখা যেত না। কিন্তু এখন স্কুলস্তরে সংস্কৃত ভাষাকে আরও সহজ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে এই ভাষার প্রতি আগ্রহ জন্মায় পড়ুয়াদের।’‌ তিনি জানিয়েছেন, প্রাচীন ভারতে সংস্কৃত ভাষার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। সংস্কৃত ভাষাতেই সব লেখা হত। কিন্তু ক্রমে এই ভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এই ভাষাকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতেই শিক্ষা কমিটির নয়া উদ্যোগ। ‌তাহলে দেখা যাচ্ছে সংস্কৃত বেশি গুরুত্ব পেলেও পালি প্রাকৃত যে একদিন সেই জায়গা নেবে না, তা কে বলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *