নয়াদিল্লি: আনলক ফোর পর্ব শুরু হতেই মিলেছিল স্কুল খোলার ইঙ্গিত৷ ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আংশিক ভাবে স্কুল খোলা যাবে বলে সবুজ সংকেত দিয়েছিল কেন্দ্র৷ কিন্তু দেশে যে ভাবে দুর্বার গতিতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তা বিবেচনা করে স্কুল খোলা নিয়ে আপত্তি রয়েছে একাধিক রাজ্যের৷ এদিন কেন্দ্রের তরফেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলা বাধ্যতামূলক নয়৷
আরও পড়ুন- GATE পরীক্ষার দিন ঘোষণা করল IIT-র, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই হবে পরীক্ষা
আনলক ফোর গাইডলাইনে আংশিক স্কুল খোলার অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির নির্দিষ্ট সংখ্যক পড়ুয়া স্কুলে সাময়িক ক্লাস করতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল৷ তবে পড়ুয়াদের স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক নয় বলেও স্পষ্ট জানানো হয়৷ সেই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, স্কুল খোলা হবে কি না, শিক্ষক-শিক্ষিকা, স্টাফ এবং পড়ুয়ারা স্কুলে আসবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত একান্তভাবেই রাজ্য সরকারের৷ কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশের ভিত্তিতেই একাধিক রাজ্য স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আবার বেশ কিছু রাজ্য পড়ুয়াদের জন্য খুলতে চলেছে স্কুলের দরজা৷
আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতিতে বৃত্তিমূলক ও মাধ্যমিক শিক্ষার গুরুত্ব কোন দিকে?
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে আসার অনুমতি দিয়েছে দিল্লি এবং হরিয়ানা সরকার৷ পড়ুয়াদের কোনও বিষয়ে জিজ্ঞাস্য থাকলে, তাঁরা স্কুলে এসে তা জানতে পারবে বলে উল্লখ করা হয়েছে৷ স্কুল খোলার পক্ষে সায় দিয়েছে অসম এবং জম্মু-কাশ্মীরও৷ তবে অধিকাংশ রাজ্যেই খুলছে না স্কুল৷ যাঁরা আগামী সপ্তাহ থেকে স্কুল খুলতে চলেছে, তাদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা এসওএস মেনে চলতে হবে৷ বাংলায় আংশিক ভাবে স্কুল খুলবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
এছাড়াও আনলক ফোর গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বিশেষ প্রয়োজনে ২১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মীদের জন্য স্কুল খোলা যেতে পারে৷ তবে ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে রেগুলার ক্লাস শুরু হবে না৷ স্কুলে ৫০ শতাংশ শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের আসার অনুমতি দেওয়া হবে৷