আজ বিকেল: সরকার থেকে প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চাদের জন্য জুতো এসেছিল। যদিও বিলি ব্যবস্থা হলে দেখা যায় বেশিরভাগ জুতোতেই পা গলাতে পারছে না পড়ুয়ারা। কারণ বয়সের তুলনায় বেশ ছোটমাপের জুতোই এসে পৌঁছেছে স্কুলে। এই সময় পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়, জুতো কেন পায়ে হচ্ছে না এনিয়ে গোলমাল বাঁধে। গোটা ঘটনার দায় গিয়ে পড়ে শিক্ষকদের উপরে। অভিযোগ, এই সময়ই ভিড়ের মধ্য়ে থেকে একজন শিক্ষকদের দিকে জুতো ছুঁড়ে মারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। এই অনভিপ্রেত ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যের শিক্ষক মহলে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির সিঙ্গুরে পহলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
একজন শিক্ষকের উদ্দেশে জুতো ছুঁড়ে মারার অর্থ প্রত্যেক শিক্ষককে অপমান করা। আর সরকার থেকে জুতো দেওয়া হয়, মাপবুঝেই জুতো আসে, এখানে কোনও স্কুলের শিক্ষকদেরই কোনওরকম ভূমিকা থাকে না। তাই কিছু বলার থাকলে তা শিক্ষাদপ্তরকে জানানো হোক। কেন শিক্ষকদের উপরে রাগ মেটানো হবে। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে গোটা ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিল শিক্ষক শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষানুরাগীদের ঐক্যমঞ্চ। একই সঙেগ দাবি করা হয়েছে স্কুলে শুধু পড়াশোনাই হোক শিক্ষকরা সেই কাজেই নিুক্ত তাকুক। আর সাইকেল, জুতো ব্যাগ দেওয়ার বিষয় থাকলে তা স্কুলের বাইরেই হোক। সেকাজে শিক্ষকদের কোনওভাবে জড়ানো চলবে না। শিক্ষানুরাগী মঞ্চের রাজ্যকমিটির তরফেই এই দাবি তোলা হয়েছে। গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুটছেন রাজ্যের শিক্ষকরা।
গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুর্শিদাবাদের শিক্ষক নেতা তন্ময় ঘোষ। তিনি বলেন জুতোর বরাত পাইয়ে দিতে গিয়েও কাটমানি খাচ্ছেন নেতামন্ত্রীরা। তাই সরকারের ঘর থেকে টাকা গেলেও ভালমানের জুতো আসছে। পড়ুয়াদের পায়ে ঢুকচে না জুতো। এমনকী, প্রাথমিকের পড়ুয়ারা জুতো পাচ্ছে অথচ প্রাক প্রাথমিকের খুদের কোনও জুতোর বন্দোবস্ত নেই। সরকার টাকা দিচ্ছে মাঝপতে কাটমানি খেতে গিয়ে তা পকেটে পুড়ছেন নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তার পরেও এই কাটমানির বহর কিন্তু কমেনি। মুখ্যমন্ত্রী যদি এই ঘটনার যথাযোগ্য তদন্তের নির্দেশ না দেন তাহলে জুতোর বরাত পাওয়া সংস্থার হাল হকিকত জানতে তথ্য জানার অধিকার আে মামলার হুমকি দিয়েছেন তন্ময় ঘোষ।