কলকাতা: পরীক্ষার ১৩৯ দিন পর আজ সকালে প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল৷ এবারও মাধ্যমিকে জেলারই জয়জয়কার৷ প্রথম দশটি স্থান ভাগ করে নিয়েছে মোট ৮৪ জন পরীক্ষার্থী৷ কিন্তু এর মধ্যে কলকাতার একজনও নেই৷ আবার সবচেয়ে বেশি পাশের হার পূর্ব মেদিনীপুরে৷ এর আগে এমন ঘটনা হয়েছে কিনা, তা কেউই মনে করতে পারছেন না৷ কিন্তু কেন প্রথম দশে নেই কলকাতা?
এই প্রশ্নের জবাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যানময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমারা সম্পূর্ণ স্ট্যাটিস্টিক দিয়ে দিয়েছি৷ আপনারাই বরং এই বিষয়ে গবেষণা করে দেখুন৷ তাঁর যুক্তি, কলকাতা লাগোয়া জেলাগুলিতে অনেক ভালো ভালো স্কুল আছে৷ অনেক সময়েই যাতায়াতের সুবিধার্থেও এই স্কুলগুলিতে কলকাতার বহু ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন৷ যাদের বাড়ি আদতে কলকাতাতেই৷ আবার পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের মতো বোর্ডিং স্কুলগুলিতেও ছেলেমেয়েদের ভর্তি করার প্রবণতা বাড়ছে বাবা-মায়েদের মধ্যে৷ জেলার বোর্ডিং স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করছে কলকাতার বহু ছেলেমেয়ে৷
গত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিকের ফলাফলে জেলার দাপট বাড়ছিল৷ তবে এই বছর কলকাতার ঝুলি একেবারে শূন্য৷ কলকাতার একজন পরীক্ষার্থীও মেধা তালিকায় জায়গা করতে পারেনি৷ যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির কাছ থেকে এর যথাযথ কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি৷ কলকাতার মধ্যেও অনেক নামিদামি স্কুল রয়েছে৷ সেই স্কুল ছেড়ে জেলার স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এই যুক্তি মানতে পারেননি অনেকেই৷ আগামী বছর কবে হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা? এদিন ভার্চুয়াল সমাবেশে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যানময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে এই প্রশ্নটিও রাখা হয়েছিল৷ এর উত্তরে তিনি বলেন, আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি, সেই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে আমাদের সেটাই আগে ভাবা উচিত৷ তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি৷
সাধারণত প্রতি বছর মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই আগামী বছরের মাধ্যমিকের পরীক্ষা সূচি জানিয়ে দেওয়া হয়। গত বছরও এই প্রথায় ছেদ পড়েছিল৷ এ বছরও করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল না মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷