নয়াদিল্লি: শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্ধারিত দিনে হবে এবছরের আইআইটিতে ভর্তির জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম (জেইই) এবং মেডিকেল কোর্সে ভর্তির জন্য – ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স এক্সাম (এনইইটি)। সেক্ষেত্রে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নিট পরীক্ষার দিন নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী পরীক্ষার্থীরা নিজের দেশ থেকে নিট পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না৷ পরীক্ষা দিতে হলে তাঁদের এদেশে এসেই পরীক্ষায় বসতে হবে৷ সোমবার এই সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট৷
পাশাপাশি এই প্রবাসী পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে 'বন্দে ভারত' মিশনের অধীনে এই তাঁদের দেশে উড়িয়ে আনার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি নাগেশ্বর রাও, হেমন্ত গুপ্ত ও এস রবীন্দ্র ভাটের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে ভারতে আগত নিট পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এদেশে আসার পর বাধ্যতামূলকভাবে তাঁদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে৷ আবেদনে এই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল৷ তবে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যাবে না বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ যদিও কোয়ারেন্টাইনে ছাড় পেতে পরীক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ৷
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে নিট পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের আবেদন খারিজ করে দেয় কেরালার উচ্চ আদালত। এরপর আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেরালা মুসলিম কালচার সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ। তিনি কাতারের বাসিন্দা এবং তাঁর সন্তান এবছরের নিট পরীক্ষার্থী।
আবেদন আজিজ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে অন্তত ৪,০০০ নিট পরীক্ষার্থী মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে আটকে রয়েছে, তাই তাদের কাতারে এবং মধ্য প্রাচ্যের অন্যান্য জায়গায় পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করার অনুমতি দেওয়া উচিত।
মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া(এমসিআই)র তরফে এক হলফনামায় বলা হয়েছে নিট পরীক্ষা কাগজের প্রশ্নপত্রে নেওয়া হয় এবং সমস্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য একই নিয়ম বজায় রাখতে হবে।
এমসিআই উল্লেখ করেছে “যেহেতু পরীক্ষাটি একই সময় এবং একই তারিখে নেওয়া হয়, তাই বিদেশের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির ক্ষেত্রে এক এক অঞ্চলে আলাদা সময়, সংস্থাগত সমস্যা এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তার কারণে” এভাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। হলফনামায় এমসিআই আরও বলেছে যে একই সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলে এনইইটিটির স্বচ্ছতা বিঘ্নিত হবে, যার ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে প্রশ্নপত্রের নিরাপদ বিতরণ সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।