বয়সের বাধা নয়, ৮০ বছরে রাজনীতি ছেড়ে PhD সাংসদের

তিয়াষা গুপ্ত: পড়াশুনোর ইচ্ছে থাকলে বয়স কোনো বাধাই হতে পারে না। তা প্রমাণ করলেন ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন বিধায়ক। ৮১ বছরের এই রাজনীতিক পিএইডি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। রাজনীতি ছেড়ে ক্লাস করছেন। তাও আবার অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে। নারায়ণ শাহু ২ বার বিধানসভার সদস্য হয়েছেন। একবার সাংসদ হয়েছেন। পিএইচডির জন্য রাজনীতি ছাড়তে তিনি দ্বিধা করেননি।

বয়সের বাধা নয়, ৮০ বছরে রাজনীতি ছেড়ে PhD সাংসদের

তিয়াষা গুপ্ত: পড়াশুনোর ইচ্ছে থাকলে বয়স কোনো বাধাই হতে পারে না। তা প্রমাণ করলেন ওড়িশার প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন বিধায়ক। ৮১ বছরের এই রাজনীতিক পিএইডি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। রাজনীতি ছেড়ে ক্লাস করছেন। তাও আবার অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে।

নারায়ণ শাহু ২ বার বিধানসভার সদস্য হয়েছেন। একবার সাংসদ হয়েছেন। পিএইচডির জন্য রাজনীতি ছাড়তে তিনি দ্বিধা করেননি। উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে ডক্টরেট করার চেষ্টা করছেন তিনি। পড়াশুনো জন্য থাকছেন কলেজ হস্টেলে।
এখন একজন ছাত্রের মতোই তাঁর জীবন। অধ্যবশায় এরে কয়! হস্টেলের একটা ছোটো খাটে শুচ্ছেন। রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোতে যাচ্ছেন। টেবিলে বইয়ের পাহাড়। বাড়ির কথা মনে পড়লে তা দেখার জন্য সামনে পরিবারের ছবি রাখা।

শাহ বলেন, আমি রাজনীতি ভালোবাসতাম। কিন্তু রাজনীতিতে দুর্নীতি দেখে সরে আসার কথা ভাবি। পড়াশুনোয় নতুন করে ডুব দেই। ঠিক করি নিজে একজন ছাত্রের মতো জীবন যাপন করব। তাই রাজনীতি ছাড়তে দেরি করিনি। আমি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পেরে খুব খুশি। সেটা ছিল আমার জীবনের অন্যতম সেরা এক মুহূর্ত।

১৯৬৩ সালে শাহ রাভেনশাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে গ্র্যাজুয়েশন করেন। ২০০৯ সালে উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেন। ২০১২ সালে দর্শনে এমফিল। এবার তাঁর লক্ষ্য পিএইচডি। এক সহপাঠীর কথায়, বয়সের তফাৎ তাঁর সঙ্গে মেলামেশার ক্ষেত্রে কোনো বাধাই হয়ে দাঁড়ায় না। তিনি সহজভাবে মিশতে পারেন।

উৎকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বরাবরই তাঁর পড়ায় নিষ্ঠা রয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অনন্য দৃষ্টান্ত।

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/Aajbikal ও aajbikel.com-এ ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =