কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারকে কড়া ভাষায় ধমক দিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ অবিলম্বে পড়ে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর৷ বেঁধে দিলেন চূড়ান্ত সময়সীমা৷ একই সঙ্গে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ আজ দুপুরে বিকাশ ভবনে শিক্ষা দপ্তরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী৷ সেখানেই এসএসসির কাজ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী৷
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এসএসসির বকেয়া নিয়োগ জুনের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ সূত্রের খবর, নমম-দ্বাদশের ওয়েটিংদের কাউন্সেলিং ও অনশনরত সফল চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়৷ আজ দুপুরেই এসএসএসির অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা সমাধানে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি রিপোর্ট জমা দেয় বিকাশ ভবনে৷ এই রিপোর্ট নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়৷ একই সঙ্গে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ শুরু করতেও নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী৷ নিয়োগ প্রক্রিয়া ফেলে রেখা যাবে না বলেও এসএসসির চায়েরম্যানকে ধমক দেন শিক্ষামন্ত্রী৷ পুরানো নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ সম্ভবত জুলাইতেই জারি হবে বিজ্ঞপ্তি৷
অন্যদিকে, শিক্ষা সংক্রান্ত মতামত চাইতে গিয়েও বেশ খানিকটা বিড়ম্বনায় পড়েন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপধ্যায়৷ সোমবার চারটে নাগাদ নিজের ফোসবুক প্রোফালে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মতামত জানতে চান শিক্ষামন্ত্রী৷ কিন্তু, শিক্ষা নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলেও নেটিজেনদের প্রশ্নবাণ কার্যত বিড়াম্বনায় পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী৷
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি, স্কুলশিক্ষকদের সামগ্রিক ভাবে বন্ধ হয়ে থাকা জেনারেল ট্রান্সফার চালু করা, নিয়মমতো এসএসসি, প্রাইমারি টেট পরীক্ষা নেওয়ার মতো একাধিক অনুরোধ করেছেন বহু মানুষ৷ শুধু তাই নয়, শিক্ষক নিয়োগে জোর না দিয়ে স্কুল থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মান ও মেধা দেখে নিয়োগ করা দরকার আছে বলেও শিক্ষামন্ত্রীকে পরামর্শ দেন বহু মানুষ৷
শিক্ষাক্ষেত্রে পরামর্শ চেয়ে পোস্ট পড়তেই বহু মানুষ তাতে সদর্থক কমেন্ট করেন৷ অনেকেই স্কুলে দু’মাস গরমের ছুটি তুলে নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন৷ পার্থ সঙ্গে সঙ্গেই জানান, এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে৷ আবার অনেকেই লিখেছেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের যেমন ক্লাসমুখী করতে হবে, তেমনই শিক্ষকদেরও ক্লাসে থাকার ব্যাপারে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন৷
সোমবার শিক্ষাক্ষেত্রে কী কী চাহিদা রাজ্যবাসীর, তা জানতে চেয়ে ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেন তিনি৷ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়৷ ১৩৯টি কমেন্ট পড়ে৷ তার মধ্যে থেকে বেশ কিছুর রিপ্লাইও দেন তিনি৷ সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর পোস্ট ভাইরাল হতেই দ্বিতীয় পোস্ট করে রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানান, মতামত দেওয়া জন্য৷