নয়াদিল্লি: লকডাউন পরিস্থিতিতে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন মানুষ৷ বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন ছাত্রছাত্রীরাও৷ এই পরিস্থিতিতে সংশাপত্রের তথ্য ছাড়াই ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট)- পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন বলে জানাল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)৷
যে সকল প্রার্থীদের হাতের কাছে এই মুহূর্তে রেজাল্ট নেই, তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তবে এই মুহূর্তে ছাড় দেওয়া হলেও, পরবর্তী সময় সংশাপত্র দেখতে চাওয়া হবে৷ সেই সময় সংশাপত্র দেখাতে বাধ্য থাকবেন প্রার্থীরা৷ মূলত, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের পদ এবং জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ (জেআরএফ) এর জন্য নেট পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে৷
নেট পরীক্ষায় আবেদনের জন্য সার্টিফিকেট আপলোড করা বাধ্যতামূলক৷ সেইসঙ্গে পরীক্ষার্থীর ছবি এবং সাক্ষর আপলোড করাও আবশ্যক৷ তবে করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়গুলিতে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিএ৷ পরবর্তী সময়ে সিএসআইআর নথি যাচাই করে দেখবে৷ মঙ্গলবার এই বিষয়ে ট্যুইট করে জানান কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখারিয়াল নিশাঙ্ক৷ সিএসআইআর নেট পরীক্ষার জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ মে৷ এনটিএ-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট nta.ac.in. –এ আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা৷
এই পরীক্ষায় বসার জন্য ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর সহ এমএসসি, এমএ বা সমতুল্য ডিগ্রি থাকতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণির জন্য ন্যূনতম প্রাপ্ত নম্বর ৫০ শতাংশ। যারা স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছে, তাঁরাও এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নেটের ফলাফল ঘোষণার ২ বছরের মধ্যে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট নম্বরের সঙ্গে উত্তীর্ণ হতে হবে।