শিক্ষা দপ্তরের গাফিলতি! ইসোর ঐতিহাসিক সুযোগ হারাল বাংলার পড়ুয়ারা

কলকাতা: শিক্ষা দপ্তরের চূড়ান্ত উদাসীনতার জেরে ইসরোর চন্দ্র অভিযান সরাসরি দেখার সুযোগ হারাল বাংলার পড়ুয়া৷ প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার দু’দিন পর জারি বিজ্ঞপ্ত৷ আর এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ জানা গিয়েছে, গত ১০ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ইসরোর উদ্যোগে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ সেখানে অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা অংশ নেওয়ার

c3ff8e09d2acd52561a2e501fca75bbf

শিক্ষা দপ্তরের গাফিলতি! ইসোর ঐতিহাসিক সুযোগ হারাল বাংলার পড়ুয়ারা

কলকাতা: শিক্ষা দপ্তরের চূড়ান্ত উদাসীনতার জেরে ইসরোর চন্দ্র অভিযান সরাসরি দেখার সুযোগ হারাল বাংলার পড়ুয়া৷ প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার দু’দিন পর জারি বিজ্ঞপ্ত৷ আর এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

জানা গিয়েছে, গত ১০ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ইসরোর উদ্যোগে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ সেখানে অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা অংশ নেওয়ার কথা জানানো হয়৷ অনলাইনে এই প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত সফল পড়ুয়ারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রযান-২ এর চাঁদের বুকে পা রাখার ঐতিহাসিক মুহূর্তের সরাসরি দেখার সুযোগ পেতেন৷ কিন্তু অভিযোগ উঠছে, সমগ্র শিক্ষা মিশন গত ২৭ আগস্ট চিঠি পাঠিয়েছে প্রতিযোগিতার বিজ্ঞপ্তি জারি করে৷ প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার দু’দিন পর৷ কিন্তু প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে যাওয়ার দু’দিন পর কেন বিজ্ঞপ্তি জারি হল? প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ৷ গোটা ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক ও পড়ুয়াদের সঙ্গে বঞ্চনার অভিযোগ তোলা হয়েছে৷

শিক্ষা দপ্তরের গাফিলতি! ইসোর ঐতিহাসিক সুযোগ হারাল বাংলার পড়ুয়ারাগত ২৭ আগস্ট সমগ্র শিক্ষা মিশনের ডিসট্রিক এডুকেশন অফিসার সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চন্দ্রযান সফলভাবে উৎক্ষেপণের জন্য আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ইসরোর দপ্তরে চন্দ্র অভিযান সরাসরি অংশ নিতে পারবে৷ ১০ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতা করা হবে৷ কিন্তু অভিযোগ, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া গিয়ে জারি হয়েছে নয় বিতর্ক৷ এই ঘটনার পিছনে চূড়ান্ত গাফিলতি রয়েছে বলেই মনে করছেন শিক্ষা মহলের একাংশ৷

এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে রাজ্য তথা দেশে বিজ্ঞান বিষয়ে ছাত্র সংখ্যা দিন দিন কমছে৷ সেক্ষেত্রে ইসরোর এই ধরনের পদক্ষেপ বিজ্ঞানের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়াবে এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা প্রসারে উৎসাহ যোগাবে৷ কিন্তু রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের গাফিলতির জন্য আমাদের রাজ্যের ছাত্ররা এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল৷ এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও দুঃখজনক৷ আশাকরি রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর ভবিষ্যতে ধরনের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সজাগ থাকবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *