নয়াদিল্লি: অতিরিক্ত নম্বর পাওয়ার অভিযোগে ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর নিট পরীক্ষা বাতিল করেছিল আদালত। রবিবার পুনরায় তাঁদের জন্য পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। কিন্তু পরীক্ষায় বসলেনই না ৭৫০ জন৷ অর্থাৎ ৪৮ শতাংশ পড়ুয়া। ১৫৬৩ জনের মধ্যে পরীক্ষা দিলেন মাত্র ৮১৩ জন৷
অথচ এই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন, কারোর আবার স্থান ছিল প্রথম দশের মধ্যে। ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় এমন ফলাফলের অর্থ, সেই পরীক্ষার্থী পড়াশোনায় অসম্ভব ভালো৷ তাহলে আবার পরীক্ষায় বসতে ভয় কেন? গ্রেস মার্কস বিতর্কে পুনরায় নিট পরীক্ষা যারা দিলেন, তাঁদের মনেও আতঙ্ক। কারণ, আগের মতো ভাল র্যাঙ্ক হবে না এই পরীক্ষায়।
নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। দেখা যায়, এবছর নিট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৬৭ জন। সকলেরই প্রাপ্ত নম্বর ৭২০-র মধ্যে ৭২০৷ প্রতি বছর এই সংখ্যাটা খুব জোর থাকে ২ থেকে ৩। এতজন প্রথম স্থানে রয়েছে দেখেই প্রশ্ন ওঠে। এরপর আসে গ্রেস মার্কস বিতর্ক ও প্রশ্ন ফাঁসে অভিযোগ।
মেঘালয়, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, গুজরাত এবং ছত্তীসগঢ়ের মোট ছ’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে অতিরিক্ত নম্বর বা গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়৷ সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে জানায়, অতিরিক্ত নম্বর বাতিল করা হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, চাইলে এই সব পরীক্ষার্থী আবারও পরীক্ষা দিতে পারবেন৷ কিন্তু পরীক্ষা না দিলে অতিরিক্ত বা বাড়তি নম্বর বাতিল করা হবে। রবিবার সেই পরীক্ষায় বসল অর্ধেক পরীক্ষার্থী৷ এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে ৩০ জুন৷
গ্রেস মার্কসের জোরে প্রথম স্থান পাওয়া এক পরীক্ষার্থী বলেন, “গতবারের তুলনায় এবারের প্রশ্ন আরও কঠিন হয়েছে। বিশেষ করে কেমিস্ট্রি। আমি দুটো প্রশ্নের উত্তর লিখে আসতে পারিনি। এর প্রভাব আমার র্যাঙ্কের উপর পড়বে।”