কলকাতা: অভিন্ন মেডিক্যাল পরীক্ষা নিট নিয়ে বিতর্ক যেন থামারই নয়। যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তাই হল। সুপার সাইক্লোন ফনির জন্য নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) ৫ মে ওড়িশা বাদে দেশের সর্বত্র নিটের আয়োজন করেছিল। ওড়িশায় তা আয়োজন করেছে ২০ মে। মেধা যাচাইয়ের অভিন্ন পরীক্ষা পৃথক দু’দিনে হলে, আইনগত সমস্যা হতে পারে, মামলা-মোকাদ্দমা হতে পারে, এই আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। তা-ই হল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে আসন্ন ২০ মে’র নিট বাতিল করে, সারা দেশে এক প্রশ্নপত্রে ফের নিট নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
এবারের তিন নিট পরীক্ষার্থী, নদীয়ার দিগম্বরপুরের প্রদীপ হালদার, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার সুশান্ত প্রামাণিক এবং ওই জেলারই সবংয়ের অনিমেষ অধিকারী উচ্চ আদালতের কাছে এই মর্মে আপিল করেছেন। ৫ মে নিটের দিন হাম্পি এক্সপ্রেস ছ’ঘণ্টা লেট করায় কর্ণাটকের প্রায় ৫০০ পড়ুয়া পরীক্ষায় বসতে পারেননি। একইভাবে ভিন্ন ভাষার প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন শিলিগুড়ির একটি পরীক্ষাকেন্দ্রের নিট পরীক্ষার্থীরাও। ২০ মে ওড়িশার পাশাপাশি তাই কর্ণাটকের ওই ৫০০ পরীক্ষার্থী এবং শিলিগুড়ির সেই সুর্নিদিষ্ট সেন্টারের পরীক্ষার্থীদেরও নিটে বসার সুযোগ দিয়েছে এনটিএ।