কলকাতা: মাতৃত্ব কোনো জৈবিক বিষয় নয়, এটা অনুভবের বিষয়- আর এই অনুভব থেকেই শুরু হয় তার মা হয়ে ওঠার গল্প৷ প্রথাগত শিক্ষার মধ্যে দিয়ে যে স্বপ্নপূরণ হয় সেই স্বপ্নও অধরা৷ কিন্তু ইতিমধ্যেই স্বপ্নের কারিগর হয়ে উঠেছেন বর্ধমানের শ্রেয়সী৷
বর্ধমান দক্ষিণখন্ড অঞ্চলে তাঁর হাতে গড়ে ওঠা ‘মা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’ এই স্বপ্নেরই ধারক ও বাহক৷ দুস্থ মানুষ থেকে অসহায় পশু, তার মধ্যেই খুঁজে পায় মায়ের স্নেহ৷ বস্তির দুস্থ শিশুদের পড়াশোনা থেকে নাচগান, কম্পিউটার থেকে ফ্যাশন শো সবকিছুই তার প্রচেষ্টায়৷ বস্তির বাচ্চাদের সাদা-কালো জীবনে রঙ ভরছেন বর্ধমানের শ্রেয়সী৷
একইসঙ্গে চলছে অসহায় পশুদের সেবাযত্ন৷ ছোট থেকেই অসহায়দের প্রতি টান অনুভব করতেন৷ এগিয়ে যেতেন সমস্যা সমাধানে৷ এই সেবা ধর্মকে পাথেয় করেই নিজের খরচায় উদ্যোগ নিয়েছিলেন, একবছরের মধ্যেই তার মা ওয়েলফেয়ার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অনেকেই৷ বহু সহৃদয় মানুষ বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত৷ আক্ষেপ একটাই এখনও কোনো সরকারি সাহায্যের আশ্বাস মেলেনি৷
স্যোশাল মিডিয়ায় শ্রেয়সী তুলে ধরেন তার কর্মকান্ড, শুধুমাত্র সাহায্যের আশায়৷ কারণ যতটুকু প্রচারের আলোয় এসেছেন তাতেই দিন দিন বেড়ে চলেছে তার কাজের পরিধি৷ এখন তার নিজের খরচায় এত সাহায্যপ্রার্থীর পাশে দাঁড়ানোটা কঠিন হয়ে উঠছে৷ তবু হাল ছাড়তে রাজি নয় এই তরুণী৷ স্বপ্ন দেখেন সেইদিনের, যেদিন তার সংস্থা সরকারি সাহায্যের মাধ্যমে আরো অনেক বেশি অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা অর্জন করবে৷